দেশের ধনী ব্যক্তি বলে কথা ১৭০ টি গাড়ির কনভয় নিয়ে বাইরে বের হন মুকেশ আম্বানি, সুরক্ষা লেভেল মাত দেবে প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা কেও

পৃথিবীর ১০ জন সবচেয়ে বড়লোক ব্যবসায়ীদের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির। তিনি নিজের কঠোর পরিশ্রম দ্বারা আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছেন। তিনি তার টিমের সঙ্গে মিলে সবসময় তার ব্যবসাকে আরো বড় বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যান আর তাই আজ তিনি কোটি কোটি সম্পত্তির মালিক। কথায় রয়েছে যে মানুষ যত বড়লোক হয় তাদের শত্রু সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই আম্বানিরা নিজেদের সুরক্ষার পিছনেও যথেষ্ট খরচা করে থাকেন। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো যে মুকেশ আম্বানি নিজের ও নিজের পরিবারের সুরক্ষার পিছনে কত টাকা খরচা করেন।

মুকেশ আম্বানি নিজের জন্য z প্লাস সিকিউরিটির ব্যবস্থা পেয়েছেন। এই সিকিউরিটির পিছনে আম্বানির করতে হয় লাখ লাখ টাকা খরচ। এই সিকিউরিটির পিছনে মাসে ২০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয় এবং এই খরচ আম্বানি নিজেই বহন করেন। z প্লাস সিকিউরিটিতে একসাথে ও একই সময় ৫৫ জন গার্ড মুকেশ আম্বানির সুরক্ষায় থাকেন। এই সিকিউরিটির মধ্যে ১০ জন এনএসজী ও এসপীজী কমান্ডোর সাথে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও থাকেন।

মুকেশ আম্বানির কাছে প্রায় ১৭০ টি কার রয়েছে। এই কারের মধ্যে বিএমডাব্লু 760L i পুরোপুরী বুলেট প্রুফ কার। এই কারটির দাম ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এই কারটির ভেতরে ল্যাপটপ, টিভি স্ক্রিন, কনফারেন্স সেন্টারের মতো অনেক সুবিধা উপস্থিত রয়েছে। এছাড়া আম্বানির কাছে বেন্টলি, রোলস রয়েস এর মতো আরো অনেক দামি দামি গাড়ি রয়েছে।

নিতা আম্বানি Y ক্যাটাগরির সুরুক্ষা প্রাপ্ত করেছেন

Y ক্যাটাগরির সুরক্ষার অধীনে নিতা আম্বানিকে সুরুক্ষা প্রদানের জন্য হাতিয়ার দ্বারা সজ্জিত ১০জন সিআরপিএফ কমান্ড নিতা আম্বানির সুরক্ষায় থাকে। নিতা আম্বানি দেশের যেই কোনাতেই যাক না কেন এই সিকুইরিটি তার সুরক্ষায় থাকেন।

আম্বানিদের সুরক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছিল পেটিশন

সুপ্রিম কোর্ট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ার ম্যান মুকেশ আম্বানি বা তার পরিবারের থেকে z প্লাস সিকিউরিটির সুরক্ষাকে ফেরত নিয়ে নেওয়ার পেটিশনটি বাতিল করে দিয়েছিল।

বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বোম্বে হাইকোর্টের ২০১৯ এর এদেশের বিরুদ্ধে দাখিল করা পেটিশনকে বাতিল করে দিয়েছিল এবং বলেছিল যে ” একজন ব্যক্তির উপর বিপদের আশঙ্কার মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করা এবং তার উপর সিদ্ধান্ত নেওয়া রাজ্য সরকারের কাজ। এই পেটিশনটি দাখিল করেছিলেন হিমাংশু আগরওয়াল।