বিদেশি সংস্থা কোকা-কোলা, নেসলে, পেপসি কে টেক্কা দিতে এবার স্বদেশী ব্যান্ড আনছেন মুকেশ আম্বানি

মুকেশ আম্বানি শুধু ভারত নয় বরং এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বনি ব্যক্তি। এছাড়া তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বনি ব্যক্তিদের মধ্যে টপ ১০ এর মধ্যে পরেন। মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর আমরা প্রায় নিউজ চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাই। মুকেশ আম্বানি ব্যবসার দিক থেকে এতোটাই দক্ষ যে আজ তার প্রোডাকশনের কোনো না কোনো প্রোডাক্ট ভারতের প্রতিটা ঘরে ঘরে রয়েছে। সেটা খাদ্য বস্তু হোক বা যোগাযোগ সম্পর্কিত বস্তু।

তবে মুকেশ আম্বানি এইটুকু পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। জানিয়ে দি মুকেশ আম্বানি এখন মুদি ও নন-ফুড কোম্পানি গুলির উপর কব্জা করবে চলেছেন। এর ফলে নেসলে, কোকো কোলা, পেপসি ইত্যাদি কোম্পানি গুলি চিন্তায় পরে গেছে। এখন আমাদের দেশের কোম্পানি রিলায়েন্স একটি ভোগ্যপণ্য কোম্পানি গড়ে তোলার দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং বিদেশি কোম্পানিগুলোকে কড়া টক্কর দিতে চলেছে। এর জন্য তিনি কিভাবে। কাজ করবেন তার পরিকল্পনাও তৈরি করেছেন।

রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে রিলায়েন্স এখন আনুমানিক: ৩০টি বিখ্যাত ভোক্তা ব্র্যান্ড গুলির সাথে আলোচনার অন্তিম পর্যায় রয়েছেন। রিলায়েন্সের পরিকল্পনা হচ্ছে এদের কিনে পণ্য বিক্রয়ের জন্য জয়েন্ট ভেঞ্চার তৈরি করা। কিন্তু রিলায়েন্স কত টাকা বিনিয়োগ করবে তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী, রিলায়েন্স কোম্পানি ৫ বছরে নতুন ব্যবসা থেকে প্রতি বছর ৫০ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ৬.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

রিলায়েন্স এক ডজনেরও বেশি গ্রসারি ও নন ফুড ব্র্যান্ড গুলিকে কেনার পরিকল্পনা করেছে। অনেক বছর ধরে তিনি পরিকল্পনা করছিলেন ইউনিলিভারের মতো বড় বিদেশি কোম্পানি যেগুলি ভারতে ব্যবসা চালিয়ে চলেছে সেগুলিকে টক্কর দেওয়ার।

সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে রিলায়েন্সের প্লানিং ছয় মাসের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ গ্রসারি হাউস হোল্ড ও পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ডের বিনিয়োগের সমন্বয় তৈরি করা। রিলায়েন্স কোম্পানির গোটা দেশে ২০০০ এর বেশি গ্রসারি ও আউটলেট রয়েছে। আর এর সাথে সাথে তারা জিও মার্টের মতো ই-কমার্সের বিস্তার ঘটাচ্ছেন। জানিয়ে দি যে আমাদের দেশের রিটেল মার্কেট ব্যবসা মোটামুটি ৯০০ বিলিয়াল ডলারের।

রিলায়েন্স সোসিও সাথেও বলেছে এই বিষয় কথা

রিলায়েন্স ৩০ এর বেশি ভোক্তা ব্র্যান্ড গুলির সাথে বলেছে কথা। আর এখন তারা আলোচনার শেষ পর্যায় রয়েছেন।
রিলায়েন্সের উদ্দেশ্য হলো এই ব্র্যান্ড গুলিকে নিজের কব্জায় করা। তবে এটাও হতে পারে যে রিলায়েন্স এই ব্র্যান্ড গুলির সাথে পার্টনারশিপ করে নেবে।

সূত্র থেকে জানা গেছে রিলায়েন্স সফ্ট পানীয় পদার্থ সোসিও কোম্পানিটির সাথেও এই বিষয় কথা বলেছেন। সোসিও গুজরাটের একটি কোম্পানি। যদিও রিলায়েন্স আগেও এই কোম্পানির সাথে কোন করেছে।

এবার থেকে সব বাড়িতে থাকে শুধু রিলায়েন্স আর রিলায়েন্স

রিলায়েন্স আগে থেকেই গোটা ভারতে প্রায় ২০০০ বেশি গ্রসারি স্টোর চালায়। এর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম জিও মার্টও দ্রুত মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এখন জিও মার্টে বেশিভাগ অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট। বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ রিলায়েন্সের নিজের প্রোডাক্ট খুব কম রয়েছে বা বলা যেতে পারে নেই। কিন্তু এখন রিলায়েন্স কোম্পানি প্ল্যানিং করছে যাতে গোটা দেশে বাড়িতে বাড়িতে তার প্রোডাক্টই থাকে। এইভাবেই তিনি ইউনিলিভারের মতো বড় কোম্পানি গুলিকে চ্যালেঞ্জ করছেন।

ইউনিলিভারের মতো কোম্পানি গুলি দাবি করে যে ১০ জন ভারতীয়দের মধ্য ৯ জন ভারতীয়রাই তাদের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে। রিলায়েন্সও এটাই চায় যে তার প্রোডাক্ট ভারতের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে থাকুক।

ব্যবসা পাবে নতুন দিক

রিলায়েন্স সম্প্রতি ড্যানোন এবং কেলগ এর মতো বড় কোম্পানি গুলি সাথে কথা বলেছে এবং সেগুলিকে রিলায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত করে নিয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি রিলায়েন্স নিজের একটি জব বিজ্ঞাপন দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে তাদের ১০০ টি শহর ও ছোট এরিয়া গুলিতে কাজ করার জন্য মিড-লেভেল সেলস ম্যানেজারের দরকার লাগবে।

এই জিনিস গুলি প্রমান করে দিচ্ছে যে
রিলায়েন্স এই পরিকল্পনাকে অন্তিম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য উঠে-পরে লেগেছে। অনুমান করে বলা হচ্ছে যে কোম্পানি প্রথমে পার্সোনাল কেয়ার, পানীয় ও চকলেট ইত্যাদি ক্যাটাগরির মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ডকে লঞ্চ করবে এবং তারপর ধীরে ধীরে ব্যবসাকে বাড়াবে।