এই সেক্টরে হতে চলেছে মুকেশ আম্বানি ও রতন টাটার কড়া টক্কর, দুজনেই বানিয়েছে তাগড়া প্ল্যান

কনজিউমার গুডস সেক্টরে দেশের দুই সবচেয়ে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টক্করের জন্য স্টেজ সাজানো হয়ে গেছে। দেশের সবথেকে বড় রিটেল কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি এই সেক্টরে বড় বাজি খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুকেশ আম্বানির এই কোম্পানিটি ৬.৫ বিলিয়ন ডলার কনজিউমার গুডসের ব্যবসা তৈরি করছে এবং এর জন্য ডজন ডজন গ্রসারি ও নন ফুড ব্রান্ডস গুলিকে কেনার অভিযান তৈরি করেছে।

অন্যদিকে টাটা গ্রূপও এই সেক্টরের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা করেছে। গ্রুপের খাদ্য ও পানীয় কোম্পানি টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস কনজিউমার গুডস সেক্টরে নিজের জায়গা শক্ত করার জন্য পাঁচটি ব্যান্ডকে কিনে নেওয়ার কথা চলছে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার সুনীল ডিসুজা একটি ইন্টারভিউতে বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে কোম্পানির গ্রোথের একটি বড় অংশ ইনঅর্গানিক এক্সপানশন থেকে আসবে। tetley চা ও eight O’Clock কফি বিক্রি করা এই কোম্পানিটির অনেক কোম্পানির সাথে কথাবার্তা চলছে। যদিও ডিসুজা নাম গুলির বিষয় কোনো রকম খোলাসা করেননি। এই কোম্পানিটি ২০২০ তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি অনেক কোম্পানির অংশীদারিত্ব কিনে নিজের বিস্তার ঘটিয়ে ছিল। এর মধ্যে রয়েছে বোতলজাত জল কোম্পানি NourishCo Beverages Ltd. এবং সিরিয়াল ব্র্যান্ড Soulfull.

কোন কোন কোম্পানি গুলির সঙ্গে হবে টক্কর

এই সেক্টর গুলিতে টাটা-র সাথে প্রতিযোগিতা করবে ইউনিলিভারের মতো আন্তঃরাষ্ট্রীয় কোম্পানি ও তার সাথে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে রিলায়েন্সের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাসের মধ্যে ৫০-৬০ গ্রসারি হাউসহোল্ড ও পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ডস গুলির পোর্টফোলিও তৈরি করা। কোম্পানি এই ব্র্যান্ডস গুলিকে দেশের ক্ষুদ্র দোকান গুলি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিসট্রিবিউটার্সের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। এই কারণে রিটেল কনজিউমার ব্র্যান্ডের নামে একটি উল্লম্ব তৈরি করা হবে। গোটা দেশে রিলায়েন্সের ২০০০ এর বেশি গ্রসারি আউটলেট রয়েছে এবং সাথে জিও মার্টের ই-কমার্স অপারেশনের বিস্তার ঘটানো হবে।

টাটা এমন সময় কনজিউমার গুডস সেক্টরে নিজের বিস্তার ঘটাচ্ছেন যখন ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি শীর্ষে রয়েছে। কনজিউমার গুডস কোম্পানিগুলির জন্য ইনপুট কাস্ট বেড়ে গেছে। ইউনিলিভার, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ, ডাবার ইন্ডিয়ার মতো কোম্পানি গুলি নিজেদের প্রোডাক্টসের দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন এবং সস্তা প্যাকেজে দ্রব্যের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। যদিও টাটা কোম্পানি এর দ্বারা প্রভাবিত হয়নি, কারণ কফি, চা ও নুনের দামে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।