বিশ্বের সবচেয়ে দামি কাঠ, সোনার চেয়ে বহুগুণ বেশি দামি! দাম জানলে চোখ উঠবে কপালে

বিশ্বের সবচেয়ে দামি কাঠ

পৃথিবীতে মূল্যবান জিনিস বলতে সোনা বা হিরে কেই বোঝেন। তবে যদি বলা হয়, পৃথিবীতে এক ধরণের কাঠ রয়েছে যার দাম স্বর্ণের থেকেও বেশি। হয়তো বিশ্বাস করবেন না, তবে এটি সত্যি। পৃথিবীতে প্রাপ্ত দুর্লভ এই কাঠের দাম সোনা ও হিরের থেকে বহুগুণ বেশি। বিশ্বে এই কাঠটি খুব দুর্লভ। এটি সবচেয়ে দামি কাঠের (Most Expensive Wood In The World) তকমা পেয়েছে। আজকের প্রতিবেদন থেকে বিশ্বের দুর্লভ ও মূল্যবান কাঠ সম্পর্কে জেনে নিন।

Aquilaria

প্রাচীন কাল বিভিন্ন ধরণের সুগন্ধি (Fragrance) তৈরীতে রাসায়নিক দ্রব্য নয়, ব্যাবহৃত হত প্রাকৃতিক দ্রব্য। বিভিন্ন ধরণের গাছ বা লতাপাতা থেকে অভিজাত সুগন্ধি তৈরি হতো। অনেকেই জানেন চন্দন গাছ অনেকটাই দামি, যা সুগন্ধি তৈরির কাজে আসে। তবে এই গাছের থেকেও দামি কাঠ রয়েছে। যার নাম আগরকাঠ (Agarwood)। এই কাঠ থেকে বিভিন্ন আতর ও ধুপ তৈরি করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, আগরবাতি নামটি আগর কাঠ থেকে এসেছে। তবে বতর্মানে আগরবাতি তৈরির করার কাজে আগর কাঠ লাগে না।

আগর কোনো বিশেষ গাছের নাম নয়, বরং এটি এক প্রকার বিশেষ গাছের কাঠ। এটি ‘আকুইলারিয়া’ (Aquilaria) নামক একপ্রকার গাছ থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধমে প্রস্তুত করা হয়। এই প্রক্রিয়াকরণের নাম ফিলফোরা পার্সিটিকা (Phylophora parasitica)। আকুইলারিয়া গাছ বড় হলে, দেহে ছিদ্র করা হয় এবং তাতে ছাঁচ নামক এক অণুজীবকে প্রবেশ করানো হয়। সেই অণুজীব গাছের ওই নির্দিষ্ট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে ওই অংশটি সুখিয়ে যায়। এরপর গাছ থেকে শুকিয়ে যাওয়া অংশ আলাদা করে প্রস্তুত করা হয় ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি কাঠ’ আগর কাঠ।

Aquilaria Tree

আগর কাঠ ‘সুগন্ধির রাজা’ হিসাবে পরিচিত। এই আগর কাঠের অর্থ হলো ‘দেবতাদের কাঠ’, যা মূলত ভারত সহ চীন ও জাপানের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর রেইন ফরেস্টে অঞ্চলে পাওয়া যায়। এখন থেকে কাঠগুলি এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। এটি খুবই দুর্লভ এবং বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাঠের তকমা পেয়েছে। এক কেজি আগর কাঠের দাম ৭৩ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

Expensive Tree