একসময় অ্যাপার্টমেন্টের ২ টি রুম নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা, আজ ৭ হাজার কোটি টাকার মালিক

উদ্যোক্তার এলাকায় পারিবারিক পটভূমি না থাকা সত্ত্বেও তিনি ঝুঁকি নিতে ঝুঁকি নিতে কখনো পিছু পা হননি। তার পসিটিভ মনোভাব তাকে ক্রমশ অনুপ্রাণিত করে গেছে এবং উপাসনা টাকু আজ দেশের প্রথম মোবাইল ওয়ালেট কোম্পানি ‘MobiKwik’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে পেরেছেন।

এটি দেশের প্রথম মোবাইল ওয়ালেট কোম্পানি ছিল। যদিও এটি এখন আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে এর ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ১১০ মিলিয়নের বেশি। ১১০ মিলিয়ানকে ২৫০ মিলিয়ান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ রেখেছে এই কোম্পানি। উপাসনা জানিয়েছেন যে তিনি সবসময় পসিটিভ থাকার চেষ্টা করেন এবং লোককেও পসিটিভ থাকার পরামর্শ দেন।

এইভাবে শুরু হয়েছিল মোবাইল পেমেন্ট ওয়ালেট কোম্পানি শুরু

উপাসনা জানান যে এক বন্ধুর মাধ্যমে তার বিপিনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। বিপিনের সাথে আলাপের পর উপাসনা জানতে পেরেছিলেন যে বিপিন একটি স্টার্টআপ শুরু করার পরিকল্পনা করছিলেন। আর উপাসনারও ইচ্ছা ছিল Paypal এর মোবাইল ওয়ালেট সিস্টেমের মতো কিছু নতুনত্ব করার কিন্তু কিভাবে করতে হবে তা যদিও স্পষ্ঠ ছিল না। এরপর তিনি বিপিনকে তার ব্যবসায় সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ফেব্রুয়ারী ২০১০-এ তিনি নিজের আইডিয়ার উপর বিশ্বাস করেন আর বিপিনের স্টার্টআপ MobiKwik-এ একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যোগদান করেন।

সীমিত বিকল্প হওয়ায় বেশিরভাগ লোক মোবাইল ফোন রিচার্জের উপর ১০-১০ টাকা খরচ করতো। মানুষ জানতোই না যে নগদ টাকা ব্যবহার না করেও লেনদেন করা যায়। মোবাইল ওয়ালেটের উপযোগিতা সম্বন্ধে একেবারেই কোনো জ্ঞান ছিল না কারুর। তাই তারা প্রথমে একটি রিচার্জ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ‘Mobikwik’-কে চালু করেছিল যা খুব শীঘ্রই একটি মোবাইল ওয়ালেটে রূপান্তরিত হয়।

উপাসনা জানিয়েছেন যে তিন যখন এই ব্যবসাটি শুরু করেছিলেন তখন তাকে বিভিন্ন ধরণের মুশকিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি নিজের অপার্টমেন্টের দুটি কক্ষে এই ব্যবসাটিকে শুরু করেছিলেন। প্রথমদিকে যখন উপাসনা MobiKwik-এর অর্থ পরিচালনা করতেন তখন নিজেকে প্রমান করা তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এছাড়া তাদেরকে নিজেদের ব্যবসার আইডিয়াকেও প্রমান করার ছিল।

বড় স্বপ্ন দেখেছিল মহিলা ব্যবসায়ী

আজ পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন উদ্যোগে বিনিয়োগ করছেন। তার বুঝতে পেরেছে যে উপাসনা একজন পরিশ্রমী মহিলা এবং কোম্পানিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া উপাসনা সকল মহিলা উদ্যোক্তাদের বিষয় বলেছেন যে- সকল নারীদের বড় বড় স্বপ্ন দেখা উচিত। আর নিজেদের প্রতিভা, ধারণা, জ্ঞান ইত্যাদি বিশ্বের সামনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তুলে ধরা উচিত ও সর্বদা নিজের মনের কথা শুনে চলা উচিত এবং জয় অর্জন করে সকলকে দেখিয়ে দেওয়া উচিত।