সন্ধ্যা ৭ টা বাজলেই এই গ্রামে বন্ধ হয়েছে যায় মোবাইল ফোন, টিভি, কারণ শুনলে করবেন প্রশংসা
ভারতের এই গ্রাম আজও বিনোদনের দুনিয়ায়, সন্ধ্যা হলেই ঘটে এই আশ্চর্যজনক ঘটনা
বিনোদন খুঁজতে এখন সকলেই প্রায় টিভি ও স্মার্টফোন নির্ভর। কাজের শেষে সকলেই চায় একটু টিভি দেখে বা মোবাইল ঘেটে সময় কাটাতে। তবে বর্তমানে মানুষ এতটাই ডিজিটাল দুনিয়ার ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছে, যা একটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ছাড়া এখন কোন কাজই ভাবা অসম্ভব। এর মাঝে দাঁড়িয়ে ভারতে (India) এমন এক গ্রাম রয়েছে, যেখানে সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যায় টিভি ও মোবাইল। তবে কেন এমন হয় ওই গ্রামে? তা আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের বিস্তারিত ভাবে জানাবো।
করোনা পরিস্থিতিতে লোকডাউনের জেরে সকলকে ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোবাইল এর টিভি ছিল একমাত্র সঙ্গী। ফলে করোনা পরবর্তী সময়েও এর নেশা আরো ভয়ঙ্কর মাত্রায় বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর। এই পরিস্থিতিতে মোবাইলের নেশা দূর করতে এক অভিনব উপায় অবলম্বন করল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি গ্রাম। যা বেশ প্রশংসনীয়। এই গ্রামের লোকেরা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোবাইল ও টিভি থেকে দূরে থাকেন।
অভিনব এই উদ্যোগটি (Unique Idea) সাংলি জেলার ভাদগাঁও গ্রামে (Vadgaon Village) নেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা বাজলেই সাইরেন (বেজে ওঠে এবং ততক্ষণাৎ বন্ধ করতে হয় মোবাইল (Mobile) ও টিভির (Television) সুইচ। টানা এক ঘন্টা ওই গ্রামের লোকেরা ডিজিটাল দুনিয়া (Digital World) থেকে দূরে থাকেন। ৮টার সময় পুনরায় সাইরেন বাজে এবং আবার তারা মোবাইল বা টিভি দেখতে পারেন। চলতি বছরের ১৪ই আগস্ট থেকে এই উদ্যোগটি নিয়েছে। ভাদগাঁও গ্রামবাসী ও পঞ্চায়েত প্রধান মিলিত ভাবে এই সিন্ধান্ত নেন।
তবে প্রথম দিকে গ্রামের মহিলাদের এ বিষয়ে রাজি করানো খুব কঠিন ছিল। কেননা সন্ধ্যা হলেই তারা টিভির সামনে বসে সিরিয়াল দেখতে। কিন্তু গোটা গ্রাম ও সমাজের কথা চিন্তা করে তাঁরাও পরবর্তীতে এটি মেনে নেন। এরপর ঠিক হয় মন্দিরের চূড়ায় একটি সাইরেন বসানো হবে এবং প্রত্যহ সন্ধ্যা ৭ বাজলেই সাইরেনের আইয়াজ শুনে টিভি ও মোবাইল বন্ধ করতে হবে। প্রথম প্রথম বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মনে করাতে হতো। তবে এখন সকলেই এই নিয়মের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।