সত্য না জেনেই মিমের বন্যা! সামনে এল দিদি নাম্বার ওয়ানে বাঘের মুখ থেকে স্বামীকে বাঁচানোর আসল ঘটনা

জি বাংলার একটি জনপ্রিয় গেম শো হলো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। প্রায় সময়ই দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে দেখা যায় লোকজনের জীবন মরণ লড়াই এর গল্প। এরকমই নিজের জীবন সংগ্রাম এর দর্শক মহলের সাথে সোমবার ভাগ করে নেন সুন্দরবন এর এক অংশ গ্রহণকারী জোৎস্না। যার জীবন কাহিনী শুনে অবাক হয়ে যেতে হয়েছে স্বয়ং হোস্ট রচনা ব্যানার্জি কেও। সুন্দরবনের বাঘের এর হাত থেকে স্বামী কে বাঁচিয়ে আনার গল্প তুলে ধরেছেন সকলের সামনে তিনি।

জ্যোৎস্না বলেছেন, “বাঘটা একেবারে লাফ দিয়ে তাঁর স্বামীর ডান কাঁধের ওপর বসে ছিল। আগেপিছু না ভেবেই তিনিও তখন তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। লাফ দেন বাঘের পিঠের ওপর। আঙুল দুটো বাঘের কানের ভিতর ঢুকিয়ে জোরে টেনে বার করেন স্বামীকে। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্না দৃঢ়ভাবে জবাব দিয়ে বলেন আমি ভেবেছি মরতে হলে দুজনেই মরবো!” এই সাহসী মহিলার জীবনের লড়াইয়ের গল্প শুনে অবাক হয়েছেন সবাইই।

https://www.facebook.com/ZeeBanglaIndia/videos/1448874745495695/

 

এরই মধ্যে কিছু সোশ্যাল মিডিয়াতে পুরো সত্য যাচাই না করেই বানিয়ে ফেলেছেন অনেক মিম। জি বাংলার ফেসবুক পেজে চ্যানেলের তরফ থেকে একটি ছোট্ট যে প্রোমো শেয়ার করা হয়েছিল সেটার উপরে নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে একাধিক মিম। ভিডিওতে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, জ্যোৎস্নার স্বামীর ডান হাত জামার ভিতরে রয়েছে। অনেকেই মনে করেছেন কাটা হাতের মিথ্যে গল্প বানিয়ে দর্শককে বোকা বানিয়েছে জি বাংলা। কারণ জামার তলা দিয়ে অস্তিত্ব রয়েছে সেই হাতের। যদিও আসলে গল্পটা পুরোপুরি আলাদা। জি বাংলা চ্যানেলের তরফ থেকে কখনোই দাবী করা হয়নি যে সেই উদ্দিষ্ট ব্যক্তির হাতটি কাটা গিয়েছে। বরং তাঁর স্ত্রী চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর হাত অবশ হয়ে গিয়েছে।

নেটিপাড়ার লোকেদের বক্তব্য সুন্দরবনের খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়ে এরকম ইয়ার্কি করা একেবারেই ঠিক নয়। যে সকল ব্যাক্তিরা পুরো সত্য না জেনে পুরো দিদি নাম্বার ওয়ানের এপিসোড না দেখে এই ভিডিও বানিয়েছেন তাদেরকে তীব্র ধিক্কার জানানো হয়েছে নেট মাধ্যমে। চারপাশে আরো অনেক খোরাক আছে যা দিয়ে মজার ভিডিও নিমেষেই বানানো যায়। সেগুলোর উপর চোখ না রেখে এই ধরনের সত্য কাহিনীর ওপর ট্রোল ভিডিও বানানো সমাজের জন্য অমঙ্গল।

https://www.facebook.com/ZeeBanglaIndia/videos/180639270770589/

অনেকেই ভেবে নিয়েছেন যে দিদি নাম্বার ওয়ানে মাঝে মধ্যে টিআরপির জন্য অনেক কিছু অবাস্তব দেখানো হয়ে থাকে। তবে এই পরিবার কে অনেকেই চেনেন একদম ভালো করে। তাই তাঁদের দাবি এই ঘটনা পুরোপুরি সত্যি। বাঘের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকার মত ঘটনা সুন্দরবনের প্রত্যেকটি মানুষের রোজকার জীবনের এক অংশ। তাই তাঁরা ভাবেন এরকম বিষয়ে সঠিক তথ্য যাচাই না করে কোনো রকম ট্রোল বা মিম ভিডিও না বানানোই উচিত।