অভাবের সংসার থেকে রাতারাতি কোটিপতি! মাত্র ৩০ টাকায় জীবন বদলে গেল রাজমিস্ত্রির

বালুরঘাটের সুজয় অভাব-অনটন যার নিত্যসঙ্গী।কিন্তু অভাবে সঙ্গে লড়তে লড়তে আজ তিনি কোটিপতি। নিত্যদিনের অভাবের সংসারে বাবা শয্যাশায়ী, পরিচারিকার কাজ করে কোনরকমে টেনেটুনে সংসার চালান মা। এভাবেই কোন রকম ভাবে দিন কেটে যাচ্ছিল বালুরঘাটের সুজয়ের। টানাটানির সংসারে অর্থের জোগান দিতে পড়াশোনার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন সুজয় । আর রাজমিস্ত্রি কাজের সূত্র ধরেই রাতারাতি তাঁর ভাগ্য বদল হয়ে গেল।

শোনা যায় সুজয়ের খুবই লটারি টিকিট কাটা নেশা ছিল। অল্প টাকা রোজগার থেকেও কিছু টাকা সরিয়ে প্রায়দিনই লটারি টিকিট কাটতেন। এই শনিবার ৩০ টাকা দিয়ে পাঁচটি লটারি টিকিট কাটেন সুজয় পাহান। আর তাতেই হয়ে যায় বাজিমাত। হঠাৎ করেই প্রথম পুরস্কার হিসাবে এক কোটি টাকার লটারি জিতে ফেলেন সুজয়। তাঁর পরিবার বন্ধু-বান্ধব এবং নিকটাত্মীয়ের মতে এবার হয়তো আশার আলো দেখবে সুজয়ের পরিবার দুঃখের দিন কাটতে চলেছে তাদের।

সুজয় পাহান দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট এর বেলঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ।অত্যন্ত অভাবী সংসার তাঁদের । বাবা অসুস্থ এবং দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী । অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান মা। সংসার চালানোর পাশাপাশি সুজয়ের পড়াশোনা এই অল্প টাকায় হচ্ছিল না । তাই জন্যই সুজয় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পড়াশোনা এবং রাজমিস্ত্রির কাজ চালানোর পাশাপাশি লটারি টিকিট কাটা নেশার থাকার জন্য তিনি মাঝে মাঝেই লটারি টিকিট কাটতেন। এই দিন ৩০ টাকা দিয়ে পাঁচটি লটারি টিকিট কাটেন সুজয় এবং হঠাৎ করেই হয়ে যায় বাজিমাত। পেয়ে যান কোটি টাকার পুরস্কার। টিকিটের নম্বর মিলে যাওয়ার ফলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান সুজয়।

তবে সুজয়ের এই কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ার খবর রাতারাতি তাঁর এলাকার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধু-বান্ধব থেকে আত্মীয়-স্বজন সবাই জেনে যায় তাঁর এই আকস্মিক পুরস্কার প্রাপ্তি। হঠাৎ করে এত টাকার লটারি জেতায় সুজয় এর সাথে সাথে তাঁর বাবা-মাও আনন্দে আত্মহারা। কিন্তু একই সাথে তাঁদের আনন্দের সাথে চিন্তা গ্রাস করছে। সুজয়ের মনে এখন একটাই চিন্তা এত টাকার মালিক হওয়ার পরও সঠিকভাবে নিরাপদে সেই টাকা কিভাবে রাখবেন ।সেটাই এখন তাঁর চিন্তার মূল কারণ। নিরাপত্তার অভাবে এরইমধ্যে সুজয় পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন।