True Love: প্রেমিকের টানে মেক্সিকোর মেয়ে এলেন হাওড়ায়, বিদেশী বউমা পেয়ে খুশি শশুরমশাইও

জাত-পাত,জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব বাধাকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আরও একবার পরিণতি পেতে চলেছে একটি ভালোবাসা। তবে এবারের ঘটনাটি একটু আলাদা। আসলে এক বাঙালি যুবকের প্রেমে আটকা পড়েছেন সুদূর মেক্সিকান রমণী। হাওড়ার ছেলে অরিজিৎ ভট্টাচার্জের (Arijit Bhattacharya)সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মেক্সিকান যুবতী লেসলি ডেলগাডো( Lesly Delgado)। শুধু তাই নয়, ভালোবাসার টানে, প্রেমিকা তার নিজের দেশ মেক্সিকো ছেড়ে সোজা চলে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের, হাওড়াতে। আর এখানেই ভালোবাসার মানুষের সাথে ঘর বাঁধতে চলেছেন তিনি।

Arijit and Lesly

মেক্সিকান মেয়ে লেসলি সম্প্রতি অরিজিৎএর বাড়ি হাওড়ার বালি দুর্গাপুর সাহেববাগানে এসে উঠেছেন। যথারীতি প্রেমিকাকে কাছে পেয়ে ভীষণ খুশি অরিজিৎ। এছাড়া অরিজিৎএর মা কাকলি ভট্টাচার্য এবং বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্যও হবু বৌমাকে পেয়ে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়ে গিয়েছে। সেইসাথে আগামী ৫ ই জুলাই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন দুজনে। লেসলি এই বিয়ে নিয়ে প্রচন্ড এক্সাইটেড এবং সে জানিয়েছে অরিজিৎকে সারাজীবনের জন্য কাছে পেয়ে সে ভীষণ খুশি।

কিভাবে ভিন্ন দেশে থেকেও তাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠল? আসুন আপনাদের জানিয়ে দিই।

ঘটনার সূত্রপাত করোনার(Covid 19) সময় থেকে। জানা গেছে অরিজিত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এবং করোনার শুরুতে যখন সারা দেশে লক ডাউন ঘোষণা করা হয় তখন অরিজিৎ তার চাকরি সূত্রে ওয়ার্ক ফর্ম হোম শুরু করেন। ঠিক তখনই সোশ্যালমিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ হয় লেসলির সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং আজ সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছেছে। এক সাক্ষাৎকারে অরিজিৎ রসিকতার ছলে জানিয়েছেন “করোনা না এলে তো আমাদের আলাপও হত না।”

Love

অন্যদিকে, শ্বশুর-শাশুড়ির নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন লেসলি। বিদেশী হবু বউমাকে তাদের ভীষণ পছন্দ হয়েছে। অরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য বলেন, “লেসলী অত্যন্ত ভালো মেয়ে। সবাইকে আপন করে নিয়েছে।” এমনকি লেসলী ইংরেজি ও বাংলা শিখছে যাতে অরিজিতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারে। তেমনি অরিজিত শিখছেন স্প্যানিশ। যাতে সে লেসলির সব কথা ভালোভাবে বুঝতে পারে। সেই সঙ্গে জানিয়ে রাখি, আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত লেসলি এবং অরিজিৎ এ দেশে থাকবেন। তারপর তারা মেক্সিকোর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন কারণ সেখানে লেসলির পারিবারিক রীতি মেনে আরো একবার বিয়ে হবে।