বিবাহিত মহিলারা ভুলেও পড়বেন না এই ধরনের গয়না, হতে পারে স্বামীর অমঙ্গল! বাড়তে পারে জীবনে ঋণের বোঝা

ভারতে মনে করা হয় মহিলাদের এমন কিছু গয়না আছে যা বিয়ের পর পড়তে হয়। এসব গয়না মহিলাদের সাজ সজ্জার অন্তর্ভুক্ত হলেও কিছুটা ভালো-মন্দের লক্ষণের বিষয় থাকে। আর এইসব বিষয়গুলি প্রাচীন কাল থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রজাতির মহিলাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। যার মান্যতা কিছুটা অকাল্পনিক হলেও কিছুটা বাস্তবিকতা রয়েছে। তবে এইসব গয়না গুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানতা বজায় রাখা উচিত। এসব ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন ভুল হলে আপনাদের জীবনে অথবা পরিবারে হতে পারে বড় কোনো ক্ষতি। আসুন এখন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এইসব গয়না ব্যবহারের নিয়ম কানুন গুলি।

প্রাচীনকাল থেকেই মেয়েদের আঙুলে আংটি পরার বিশেষ চল রয়েছে। রামায়ণে আমরা মেয়েদের এই আংটির কথা উল্লেখ পেয়েছি। সীতামাকে যখন রাবণ হরণ করে নিয়ে যায় সেই সময় সীতা মা তার পায়ের আংটি খুলে ফেলেছিলেন তাঁর চিহ্ন হিসেবে। পায়ের এই আংটি কে ‘চুটকি’ ‘আংটা’ বলা হয়ে থাকে। এই আংটা সাধারনত রুপোর তৈরি হয়। সোনা সাধারণত কোমরের নিচের অংশে পড়া হয়না, কারণ সোনা কে মা লক্ষ্মীর ধাতু হিসেবে ধরা হয়। তাই মেয়েরা এই অংটা রূপোর পড়ে থাকে। তবে এতে অনেক সময় বিভিন্ন রকমের পাথর লাগানো থাকে। সাধারণত বুড়ো আঙ্গুলের পাশের ও তার পাশের আঙ্গুলে এই আংটা পড়া হয়ে থাকে।

এই আংটা পড়ার বিশেষ মান্যতা আছে। এই আংটা কে সূর্য ও চন্দ্রের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। বৈজ্ঞানিক মতে এই আংটা পড়লে মেয়েদের মাসিক চক্র নিয়মিত হয় ও গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী হয়। তবে মনে করা হয় বিয়ের পরেই বিবাহিত মহিলাদের এই আংটা পড়া উচিত, অবিবাহিত মেয়েদের আংটা পড়লে অশুভ মনে করা হয়। তবে এই আংটা পড়ার বিশেষ নিয়ম আছে, যা নামানলে মেয়েদের পরিবারের তথা স্বামীর জীবনে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।শাস্ত্র বিজ্ঞান অনুসারে পায়ের আংটা পরিধান করার পর পায়ের আঙ্গুল থেকে যেনো কখনো না হারিয়ে যায়। আর নিজে পরিধান করা পায়ের আংটাটি অন্য কাউকে কখনো দেবেন না, এতে আপনার স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে এককথায় অসুস্থ হতে পারে।