মাধুরী দীক্ষিতকে দিয়ে দাও যুদ্ধ করব না! পাকিস্তানি সেনার প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম বত্রা দিয়েছিলেন কড়া জবাব

ভারতের ইতিহাসে কার্গিল যুদ্ধের কথা কম বেশি সবারই মনে আছে। কার্গিল যুদ্ধটি হয়েছিল ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানদের। তবে এই যুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন ছিলেন ভারতীয় জওয়ান বিক্রম বত্রা।

পাকিস্তানি সেনারা যুদ্ধের সময় বিক্রম বত্রাকে কু- প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদি ভারতীয় জওয়ানরা মাধুরী দীক্ষিতকে তাদের হাতে তুলে দেয়, তাহলে পাকিস্তানি সেনারা আর যুদ্ধ করবে না। তবে বিক্রম বত্রা এই প্রস্তাবের জন্য সপাটে চড় মেরে তিনি পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছিলেন।

বিক্রমের জন্ম হয়েছিল হাজার ১৯৭৪ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর, হিমাচল প্রদেশের পালমপুরে। তিনি দেশের জন্য খুবই কম বয়সে বলিদান দিয়েছিলেন নিজেকে। তিনি ২৫ বছর বয়সে যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন দেশের স্বার্থে।

কার্গিলের যুদ্ধ মূলত হয়েছিল, পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতীয় জওয়ানদের ওপর আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে ৫১৪০ নম্বর পোস্ট থেকে। এরপর পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানদের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এই যুদ্ধে সবথেকে বড় কৃতিত্ব রয়েছে বিক্রম বত্রার।

যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে একজন বলেছিলেন, মাধুরী দীক্ষিতকে তুলে দিতে তাদের হাতে। তাহলে তারা আর যুদ্ধ করবে না। বিক্রমএর জবাবে বলেছিলেন, এই নে মাধুরী দীক্ষিতের ভালোবাসা। এটা বলে তিনি AK-47দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

৫১৪০ নম্বর পোস্টটি ভারতীয় সেনারা আবার ভারতকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় এরপর বিক্রম আরো একটি পোস্ট ৪৮৭৫ পোষ্টের জন্য ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় গিয়েছিলেন। যদিও এই বীর জওয়ানের কার্গিলের যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছিল।

কার্গিল যুদ্ধ হওয়ার কিছু মাস আগে তিনি ছুটি নিয়ে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন পালমপুরে। নিজের বাড়িতে থাকার সময় তার ছোটবেলার বন্ধুদেরকে নিয়ে গিয়েছিলেন ন্যুগাল ক্যাফেতে।

সেখানে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, “এবার তুমি সেনায় আছো। নিজের খেয়াল রাখবে।” বিক্রম বলেছিলেন, “আমার চিন্তা করোনা, আমি জিতে তিরঙ্গা উড়িয়ে আসব, আর সেই তিরঙ্গাতেই মুড়ে আমাকে বাড়িতে আনা হবে। কিন্তু আমি আসব এটা নিশ্চিত।”