‘চিনি বা না চিনি, শি ইজ মাতঙ্গিনী’ মদনের, মমতা জপের মন্ত্রে উপনির্বাচন এবার মেগা ফাইট

বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক মহলের সুপারস্টার মদন মিত্রের এবার গল্লি ব‌য় ভূমিকা দেখার কাউন্টডাউন শুরু বাঙালির, উদ্দেশ্য আগামী বিধানসভা উপনির্বাচন। যদিও এর আগেও “ওহ লাভলি” দিয়ে রাজনীতির পাশাপাশি গায়ক মদন মিত্রের ছাপটাও বেশ উপভোগ্য করেই মানুষের কাছে পৌঁছে গেয়েছে। মদন মিত্র মানেই এখন বাংলার রাজনীতিতে একটা ব্রান্ড রাজনৈতিক ভাবমূর্তি যা এর আগেও অনেক বাঙালি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কিছুবার চেষ্টা হলেও তেমন সাড়া ফেলতে পারে নি এতকাল পর্যন্ত সেরকম ভাবে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে খবর আসা মাত্রই উৎসব এর আয়োজন প্রায় একপর্যায়ে শুরু হয়ে গেয়েছে। এক বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে প্রীতম দে-র সুরে এবং কথায় ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হার বেটিয়া’ একটা র‍্যাপ গানে মদন মিত্র কে এবার নতুন ভূমিকায় দেখতে চলেছে বাঙালি। এই গানের কথায় যেমন থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দনা তেমনই আবার থাকছে অসমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভুল করে বলে ফেলা মাতঙ্গিনী হাজরা কে নিয়ে বক্তব্যের টিপ্পনী “চিনি বা না চিনি, শি ইজ মাতঙ্গিনী” ।

চলতি বছরের পুজোর পরে পরেই সম্ভবত রুপোলি পর্দায় আসতে চলেছে মদনের বায়োপিক। এবিষয়ে বিধায়ক বলেছেন “বায়োপিক হলে তো ভালোই লাগবে। তবে রাজর্ষিকে বলব দৃশ‍্যের মাঝে মাঝে একটু গান বাজনা ঢুকিয়ে দিতে।” সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মদন মিত্রের গান বাজনার সাথে কতোটা সখ্যতা। তবে এই বায়োপিকে তাঁর প্রথম পছন্দের নায়ক হিসেবে একদা ভবানীপুরের ছেলে পঙ্কজ ত্রিপাঠী যিনি হিন্দি ছবি দিয়ে মনে কেড়ে নিচ্ছে বর্তমানে অথবা বাংলার শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

মদন বাবু জানান পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সাথে তাঁর কথোপকথন একপর্যায়ে হয়েছে এই বিষয়ে বাকি কথা শিল্পী কোলকাতায় এলে হবে। অভিনেতা শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এর সম্পর্কে তিনি বলেন “আমি শুনেছি উনি খুব ভাল একজন অভিনেতা। হয়তো ওঁর কোনো আপত্তি নাও থাকতে পারে অভিনয়ে।” যদিও এই দুই অভিনেতার সাথে যোগাযোগ চলছে আপাতত। তবে মদন বাবু নিজের বায়োপিকে নিজে অভিনয় করতে মোটেও রাজি নয়। এখন সময় বলবে নতুন গান শ্রোতাদের কাছে ‘ওহ লাভলি’-র জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারে কিনা। সামনেই লক্ষ্য আবার লোকসভা সেই লক্ষ্যভেদেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে এই নতুন হিন্দি গান কতোটা ঘুঁটি সাজাতে সাহায্য করে এখন দেখার পালা সেটাই।