বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু নির্জন ভবন, যেখানে মানুষেরা পর্যন্ত যেতে পান ভয়

এই পৃথিবীতে অনেকরকম বস্তু বা জীব রয়েছে যেগুলির মধ্যে কিছু কিছু জিনিসকে বা প্রাণীকে মানুষ শুভ মনে করে আবার কিছু জিনিসকে অশুভ মনে করে। যদিও এই শুভ-অশুভ জিনিসের মধ্যে অনেক সময় বেশিভাগ জিনিস মানুষের কুসংস্কার থাকে। যেমন- বিড়ালের রাস্তা কাটাকে অশুভ ধরা হয় কিংবা এক শালিখ দেখাকে অশুভ ধরা হয়। আবার দুশালিখ দেখা শুভ মনে করা হয়। এছাড়া অনেকে ভূত-প্রেত-তান্ত্রিক-তান্ত্রিক, জাদু বিদ্যা ইত্যাদিতেও বিশ্বাস করে। এইসবই মানুষের কুসংস্কার।

তবে মানুষের সব বিশ্বাসই যে কুসংস্কার হয় তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু ঘটনা বা কোনো বস্তু বা জায়গাকে নিয়ে রটা কথা কখনো কখনো সত্যিও হয়। যেমন উত্তর কোরিয়াতে (Korea) অবস্থিত একটি হোটেল আছে যেটিকে মানুষ অভিশপ্ত ও ভৌতিক বলে মনে করে। এই হোটেলটি পিরামিডের মতো আকৃতি এবং ধারালো-তীক্ষ্ণ প্রান্ত সহ একটি আকাশচুম্বী ভবন হিসাবে নির্মিত করা হয়েছিল। তবে ৩৩ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও এর নির্মাণ কার্য সম্পূর্ণ হয়নি। এই হোটেলের অফিসিয়াল নাম হলো Ryugyong, যা Yu-Kyung নামেও পরিচিত।

হোটেলে রয়েছে ১০৫ টি কক্ষ

উত্তর কোরিয়ার (Korea)রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ অবস্থিত Ryugyong হোটেলটির উচ্চতা ৩৩০ মিটার এবং এই হোটেলে ১০৫টি কক্ষ রয়েছে। এই হোটেলটিকে বাইরে দিয়ে দেখতে খুব জমকালো ও বিলাসবহুল (incomplete luxury hotel) দেখতে লাগে। কোরিয়ার লোকেরা এই হোটেলটিকে “ভৌতিক প্রাসাদ’ বলে।

Ryugyong hotel

হোটেলের উপর খরচ হয়েছে ৫৫ ট্রিলিয়ন টাকা

জাপানি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে উত্তর কোরিয়ার সরকার এই হোটেলটি তৈরি করার জন্য এই হোটেলটির পিছনে মোটা পরিমানে টাকা খরচ করেছিলেন। প্রায় ৫৫ ট্রিলিয়ন টাকা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই হোটেলটি তৈরি হতে পারলো না।

গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রয়েছে এই ভৌতিক ও অশুভ হোটেলের নাম

আজ বিশ্ব এটিকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু নির্জন ভবন’ হিসাবে চেনে। এই হোটেলের এই বিশেষত্বর জন্যই গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এই হোটেলের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। যদি এই হোটেলটি তৈরি হয়ে যেত তবে এটি পৃথিবীর সপ্তম সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হিসেবে গণ্য হতো এবং পৃথিবীর প্রথম সবচেয়ে উঁচু ও বিলাসবহুল হোটেল হিসেবেও গণ্য হতো (incomplete luxury hotel)।

Ryugyong hotel

১৯৮৭ সালে নির্মাণ কার্য শুরু হয়েছিল এই হোটেলের

এই হোটেলটির নির্মাণ কার্য শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে এবং এটিকে সম্পূর্ন করার জন্য ২ বছরের সময় সীমা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিল্ডিংটি তৈরি করার সময় অনেক বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল যার ফলে ১৯৯২ সালে এই হোটেলটির নির্মাণ কার্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ২০১১ সালে এই হোটেলের লসন কার্যকে আবার শুরু করা হয়েছিল এবং হোটেলের উপর ১১ হাজার কোটি টাকা খরচও করা হয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্মাণ কার্য সম্পূর্ণ করা যায়নি।