কোটি বছর পিছনে চলে যাবেন দর্শকেরা,এবার দেশের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে জুরাসিক পার্ক
Jurassic park তৈরি হতে চলেছে ভারতে খুব শীঘ্রই
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড সিনেমাটি হলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটি জনপ্রিয় ফিল্ম। এই ফিল্মটি গোটা বিশ্বের লোকেরই খুব প্রিয় ফিল্ম। এই ফিল্মে দেখানো হয়েছিল যে জুরাসিক পার্ক (Jurassic park) নামক একটি পার্ক রয়েছে যেখানে ডায়নোসর ও সেইসময়কার প্রাণীরা বসবাস ও ঘোরাফেরা করে এবং লোকেরা তাদের দেখতে আসতো। মূলত ডাইনোসর থেকে শুরু করে সেই সময়কার প্রাণিদের দেখে বহু মানুষ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
এই ফিল্মটি দেখার পর অনেক মানুষের মনে হয়েছিল যে এরকম একটি পার্ক বাস্তবে হলে অনেক ভালো হতো। তাহলে মানুষ তাদের পরিবার ও বাড়ির বাচ্চাদের মতো এই পার্কে বেড়াতে যেতে পারতো ফিল্মের মতো। আপনারও যদি ফিল্মটি দেখার পর এমন চিন্তা মাথায় এসে থাকে তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। বিশেষ করে এই সুখবরটি রয়েছে ভারতের মানুষের জন্য। কারণ ভারতে তৈরি হতে চলেছে ফিল্মের মতো জুরাসিক পার্ক (Jurassic park)। আসুন ভারতে তৈরি হওয়া এই জুরাসিক পার্কের বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।
রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে ২ একর জমির ওপর এই পার্ক তৈরি হচ্ছে। যেহেতু এতো কম এরিয়া জুড়ে পার্কটি তৈরি হচ্ছে তো পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে যে ফিল্মের মতো ডায়নোসর ও ম্যামথরা সেখানে হাঁটা-চলা করবে না তারা একই জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে থাকবে কিন্তু নরা-চড়া করবে এবং তাদের দেখতেও আসল ডায়নোসরের মতোই হবে। আর মানুষ তাদের আশেপাশে ঘোড়ার সুযোগও পাবে। শুধু এদের দেখাই নয়, বিবর্তনের তত্ত্বও সকলের কাছে অনেকটা পরিস্কার হয়ে যাবে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে পার্কটির। এছাড়া জানা গেছে যে এই পার্কে ডায়নোসর সহ আরো যেসব দৈত্বকার প্রাণী তৈরি হবে তা ফেলে দেওয়া টায়ার, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক ও অন্যান্য ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে। এখানে ডাইনোসর ছাড়াও থাকবে নানা ধরনের সেই সময়কার সরীসৃপ, অন্য প্রাণি। এমনকি সেখানে আদি মানবেরও দেখা মিলবে।
এই জুরাসিক থিম পার্ক দর্শকদের কোটি বছর পিছনে নিয়ে চলে যাবে। এখানে ঘুরতে ঘুরতে দর্শকরা জানতে পারবেন কীভাবে প্রাণি জগতে বিবর্তন এল। লখনউ শহরের বিখ্যাত পার্ক জ্ঞানেশ্বর মিশ্র পার্ক। সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় থাকাকালীন এই পার্ক তৈরি হয়েছিল। এবার সেই বিশাল পার্কের থেকেই ২ একর জমি কেটে নিয়ে সেখানে তৈরি করা হচ্ছে এই জুরাসিক পার্ক। যা শিশুদের তো বটেই, এমনকি বড়দেরও সমান আনন্দ দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা