জীবনে কোনদিন খাননি পেইনকিলার, অনুভব করেননি ব্যথাও! মহিলার কথা শুনে তাজ্জব চিকিৎসকরাও

সিলভার স্ক্রিনের পর্দায় অনেক সময় এমন সংলাপ শোনা যায়, যেখানে বলা হয় ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’। কিন্তু সত্যি কথা হলো নারী হোক বা পুরুষ, শিশু হোক বা বৃদ্ধ, সবারই ব্যথা আছে এবং তা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ খেতে হয় সকলকেই। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একজন মহিলা আছেন যিনি ব্যথা অনুভব করেন না।

শুনতে অবাক লাগলেও, বাস্তবে এমনই একজন মহিলা রয়েছেন, যার কথা শুনে হতবাক চিকিৎসকরাও। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা জো ক্যামেরন (Jo Cameron) একজন সুপারহিউম্যানের চেয়ে কম নন। বছর ৭৫-র এই মহিলা কখনই কোনরকম ব্যথা অনুভব করেন না। সুপারহিরো সিনেমার নায়করা যেমন আঘাত পেয়েও ব্যথা অনুভব করেন না, তেমনি জো’ও ব্যথা অনুভব করেন না।

img 20230424 152226

হোয়াইটব্রিজের বাসিন্দা জো, ৬৫ বছর বয়সে গিয়ে বুঝেছিলেন, তিনি আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। কারণ, তিনি তাঁর সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন, কখনও রান্না করতে গিয়ে পুড়ে আহত হয়েছেন, কিংবা আঘাত পেয়েছেন, কখনই তিনি কোনরকম ব্যথা অনুভব করেননি। এমনকি একবার তাঁর হাত আগুনে পুড়ে যাওয়ার সময় চামড়া পড়ার গন্ধ পেয়ে তিনি বুঝেছিলেন যে তাঁর হাত পুড়ছে। এখানেই শেষ নয়, কখনই দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতায় ভোগেন না, তিনি কোনও কিছুতে আতঙ্কিত হন না।

এইসকল কারণের জন্য চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন, জেনেটিক মিউটেশনের কারণে তাঁর এমন ক্ষমতা রয়েছে। আর্থ্রাইটিসের কারণে যখন তাঁর বুড়ো আঙুল ও নিতম্বের হাড়ের অস্ত্রোপচার করা হয়, তখন সাধারণত মানুষের প্রচণ্ড ব্যথা হয়, কিন্তু জো কোনো ব্যথা অনুভব করেননি। তিনি বিশ্বের খুব বিরল ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যিনি ব্যথা অনুভব করেন না।

img 20230424 152354

চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়ে গবেষণা করার পরিকল্পনাও করেছিলেন যাতে মানুষের ব্যথার অনুভূতি কমানো যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা এটাও বলেছেন যে মানুষের শরীরে ব্যথা হওয়া দরকার কারণ এটি শরীরে কোনো সমস্যা হওয়ার প্রথম লক্ষণ। ব্যথার মাধ্যমেই শরীর নির্দেশ করে যে আমাদের ওষুধ দরকার।