দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বপ্ন পূরণ মুকেশ আম্বানির, খুশিতে কেঁদে ভাসালেন মুকেশ পত্নী নীতা আম্বানি

ভারত ও এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শিল্পপতি (businessman) মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। শুধু তাই নয় মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নাম গোটা পৃথিবীর ১০ জন সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৭ নম্বরে রয়েছে। বলা যেতে পারে মুকেশ আম্বানি এই পৃথিবীর ধনী ও বিখ্যাত শিল্পপতিদের (Business man)মধ্যে অন্যতম। এছাড়া জানিয়ে দি মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার প্রায় তাদের ব্যবসা, ব্যক্তিগত জীবন ও বিশেষ করে লাক্সারি জীবনযাপনের জন্য আলোচনার বিষয় হয়ে থাকে। বিশেষ করে মুকেশ আম্বানির স্ত্রী প্রায় আলোচনার বিষয় হয়ে থাকেন। বলা যেতে পারে পৃথিবীতে এমন কোনো লাক্সারি বস্তু নেই যেটা আম্বানি পরিবারের কাছে নেই। সবচেয়ে দামি বাড়ি থেকে শুরু করে সবচেয়ে দামি গাড়ি পর্যন্ত সবকিছুই রয়েছে আম্বানি পরিবারের কাছে।

Mukesh Ambani and Nita Ambani

সম্প্রতি আম্বানি পরিবার আবার আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন। তবে এবার তাদের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠার কারণ হলো আম্বানিদের জিও ইনস্টিটিউট (Jio Institute)। সম্প্রতি জিও ইনস্টিটিউটের প্রথম সেশনের সূচনা উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানির (Nita Ambani) সাথে ফাউন্ডেশন ব্যাচের বাচ্চারা, তাদের বাবা-মা, আর জিও ইনস্টিটিউটের (Jio Institute) সমস্ত স্টাফ এবং ফ্যাকাল্টি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নোভি মুম্বাইয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে জিও ইনস্টিটিউটের শুরু করেছে। এর নতুন একাডেমিক সেশনের শুরু চলতি বছরের ২১ শে জুলাই থেকে শুরু হয়েছে।

Jio institute

এই উপলক্ষে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ার পার্সন নিতা আম্বানি (Nita Ambani)  বলেছিলেন ” জিও ইনস্টিটিউটের জন্ম ভারতে উচ্চশিক্ষার নতুন সংজ্ঞা দিতে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠাতা, আমার শ্বশুর, শ্রী ধিরুভাই আম্বানির উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হয়েছে।” তিনি আরো বলেছেন যে “আমি মুকেশ আম্বানির সাথে একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম যা জিও ইনস্টিটিউট রূপে আজ সত্যি হয়েছে। আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই যা বিশ্বজুড়ে তরুণ ভারতীয় এবং গোটা বিশ্বের যুবকদের মানবজাতির জন্য একটি স্থায়ী এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সমাধান বিকশিত করতে তৈরি করতে সক্ষম করে। তাদের উদ্দেশ্য হল জিও ইনস্টিটিউটে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা যা নতুন ধারণার আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করে এবং বাস্তবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিকাশ ঘটায় যা মানুষের বাস্তব জীবনের সমাধান দিতে পারে।

জিও ইনস্টিটিউট আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, ডিজিটাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং কমিউনিকেশনে দুটি পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সের সাথে শুরু করা হয়েছে। প্রথম ব্যাচে ভারতের ১৯টি রাজ্য এবং চারটি দেশের (দক্ষিণ আফ্রিকা, ভুটান, নেপাল এবং ঘানা) ১২০ জন বাচ্চা রয়েছে। নোভি মুম্বাইয়ের উলওয়েতে অবস্থিত জিও ইনস্টিটিউটটি ৮০০ একর জমিতে নির্মিত। বলা হচ্ছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এটি স্থাপনে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে।

Nita Ambani

সেশনের শুরুতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিতা আম্বানি বলেন যে “আজ একটি নতুন সূচনা হলো। এটি জিও ইনস্টিটিউট এবং সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। একটি ইনস্টিটিউটের প্রতিটি ব্যাচ বিশেষ হয় কারণ তারা ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোতে অবদান রাখে।