জেল টুরিজম: টাকা দিয়ে ২০ দিন ধরে জেলে কাটালেন ৮ ব্যাক্তি, শেয়ার করলেন অভিজ্ঞতা

অপরাধ করলে চলে যেতেই হয়, সেটা সাধারণ মানুষ হোক বা মন্ত্রী লেভেলের কেউ হোক। বলা হয়ে থাকে জেলের সংশোধনাগারে থাকলে নিজেকে শোধরানো যেতে পারে। তেমনি কারাগারে থাকা ট্রাক চালক শ্রীকান্তকে জেলে থাকতে হয়েছিল। তার অভিজ্ঞতার কথাই আজ জেনে নিন। তবে এবারের বিষয়টি একটু আলাদা এখানে অপরাধ না করে টাকার দিয়ে স্ব – ইচ্ছায় জেলে থাকা যায়। আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।

আসলে, তেলেঙ্গানার একটি ২০০ বছরের পুরানো জেলের অংশকে মিউজিয়ামের রূপ দেওয়া হয়েছে এবং ওই মিউজিয়ামে টাকা নিয়ে জেলের অভিজ্ঞতা দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে । এটি জেলটি হায়দ্রাবাদ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেরকম অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য তেলেঙ্গানার আট ইঞ্জিনিয়ার ও এক ট্রাক ড্রাইভার ২০ দিন জেলে থেকেছেন। শুধু তাই নয় এই ২০ দিন জেলে কাটানোর জন্য তাদের অর্থ প্রদানও করতে হয়েছিল। কারাগারে থাকার জন্য এদের প্রত্যেক দিন ৫০০ টাকা করে দিতে হতো।

জেল সফরে আসা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে একজন হলেন নীতীশ রেড্ডি, তিনি হায়দ্রাবাদে কাজ করেন। নীতীশ জানান, এই জেলটির কথা তাঁকে তাঁর বন্ধু বলেছিলেন। তারপরই তিনি তাঁরা নতুন অভজ্ঞতার জন্য এই কারাগারে থাকতে যান। তাঁরা তিন বন্ধুই একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন I.I.T. মুম্বাই থেকে। নীতিশ জেল থেকে বেরিয়ে, সেখানে থাকার অভিজ্ঞতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, তাঁর মোবাইল, পার্স সহ অন্যান্য জিনিসপত্র জেল কর্তৃপক্ষ জমা নিয়ে নিয়েছিল। তারসাথে তাঁদের দেওয়া হয়েছিল কারাবন্ধীর পোশাক। নীতীশ আরও জানান, তাঁদের খাবারে দেওয়া হতো ভাত আর ডাল। যার স্বাদ তাঁর এবং তাঁর বন্ধুদের মোটেও পছন্দ ছিল না। নীতীশ এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে কারাগারে বন্ধী কয়েদিদের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি আরও জানান, তাঁদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা কক্ষতে রাখা হয়েছিল। যে কারণে তাঁরা বন্ধুরা মিলে গভীর রাত পর্যন্ত একসাথে গল্প করে, যে যার কক্ষে ঘুমাতে যেতেন।