ঐতিহাসিক সাফল্য পেলো ISRO, চন্দ্রযান-২ খুঁজে পেলো বিরাট খাজানা

আবারও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (Indian Space research organisation) এক নতুন আবিষ্কার সারা পৃথিবীতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে। 2019 সাল থেকে চন্দ্রযান টু (Chandrayaan-2) চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করেই চলেছে। কিন্তু এইবার সর্বপ্রথম এটি চাঁদের (Moon) সোডিয়াম আবিষ্কার করেছে। ভারতের এই সাফল্যে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং রিপোর্ট অনুযায়ী ইসরো (ISRO) চাঁদে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম আবিষ্কার করেছে।

img 20221019 165909

ইসরোর এক প্রতিবেদন অনুসারে চন্দ্রযান 2 কক্ষপথে প্রদক্ষিণকালে অরবিটে থাকা ফ্লুরোসেন্স এক্সরে স্পেক্টোমিটার ‘ক্লাস’ (C1XS) চাঁদে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম সনাক্ত করেছে। এই আবিষ্কারের ফলে চাঁদে ঠিক কত পরিমান সোডিয়াম আছে সেটির ব্যাপারে জানার এক নতুন দিক খুলে গেছে। চন্দ্রযান টু এর লার্জ এরিয়া সফটওয়্যার ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে।

এর উচ্চ কর্মক্ষমতার কারণে এটি সোডিয়াম এর কনাগুলিকে সনাক্ত করেছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক গবেষণায় সোডিয়াম অনুর একটা পাতলা আস্তরণের উপস্থিতিও নির্দেশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে উপস্থিত সোডিয়াম উপস্থিত খনিজ গুলির যদি একাংশ হয় তবে এই সোডিয়ামগুলিকে অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে খুব সহজে সংগ্রহ করা যেতে পারে।

img 20221019 165923

চাঁদের পাতলা বায়ুমন্ডলে ক্ষারীয় সোডিয়ামের উপস্থিতি একটা খুবই আকর্ষণীয় দিক। এই আবিষ্কারের সাহায্যে আমরা জানতে পারি যে এই অংশটিতে চাঁদের বায়ুমন্ডলের অঞ্চলটি খুব শক্ত এবং এটিকে এক্সোস্ফিয়ার বলা যায়। এটি চাঁদ থেকে প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই গবেষণা গ্রহ নক্ষত্রের ওপর গবেষণার এক নতুন দিশা খুলে দিয়েছে। এরপর এই মডেলটির সাহায্যে তারা এখন বুধ, শুক্র ও অন্যান্য গ্রহগুলির উপর সহজেই গবেষণা করতে পারবেন। ইতিমধ্যে চন্দ্রজান 2 আয়নস্ফিয়ারের প্লাজমা ঘনত্বের আবিষ্কার করেছে যেটি যা চাঁদের এক ক্ষেত্রে অবস্থিত। এই স্যাটেলাইটটি 2019 সাল থেকে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর থেকে সমস্ত কিছু অধ্যয়ন করেই চলেছে।