ভারতের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম,ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ৫০০০ কোটি টাকা

ভারতকে কৃষিপ্রধান দেশ বলা হয়। এখানকার অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। তবে সময়ের সাথে সাথে এখন বেশিরভাগ মানুষ শহরে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছে কারণ লোকের ধারণা যে গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ বেশি টাকা আয় করে। আপনিও যদি এই চিন্তাভাবনার মানুষ হয়ে থাকেন তবে এই আর্টিকেল পড়ার পর আপনার চিন্তাধারণার অবশ্যই বদল ঘটবে। আমরা আজ যেই গ্রামের বিষয় আলোচনা করতে চলেছি সেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড়লোকদের গ্রাম। এই গ্রামের মানুষরা শহরের বসবাসকারী মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি বড়লোক। তাই এই গ্রামটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড়লোক গ্রাম বলা হয়। এই গ্রামটির নাম হলো মদপার।

মাদপার গ্রামে প্রায় ১৭টি ব্যাংক রয়েছে। এই গ্রামের ৭৬ শতাধিক পাকা বাড়ি রয়েছে। বলতে গেলে এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি পাকা বাড়ি।এই গ্রামের মানুষ এখনো পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছে। কচ্ছ জেলায় বর্তমান আঠারোটি গ্রামের মধ্যে একটি গ্রাম হচ্ছে মদপার। রিপোর্ট থেকে জানা গেছে এই গ্রামে বসবাসকারী প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বেশি এমাউন্ট জমা রয়েছে। এছাড়া সতেরটি ব্যাংকের সাথে সাথে এই গ্রামে স্কুল, কলেজ, লেক, পার্ক, হাসপাতাল, মন্দিরের সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এখানে গোয়ালঘরও রয়েছে।

এই কারণে গ্রামটি এতো ধনী

এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই গ্রাম গুলি ভারতের অন্যান্য গ্রামের থেকে আলাদা কেন? এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এই গ্রামে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষের আত্মীয়স্বজন বিদেশে থাকে। এতে লন্ডন, আমেরিকা, আফ্রিকা ছাড়াও উপসাগরীয় দেশগুলোও যুক্ত রয়েছে। মাদপার গ্রামের ৬৫ শতাংশ মানুষ এনআরআই এবং তারা তাদের পরিবারের লোকেদের যথেষ্ট পরিমানে অর্থ পাঠায়। আমার এরকমও অনেকে আছেন যারা বছরের পর বছর বিদেশে থাকার পর মদপারে ফিরে এসেছেন এবং এখানে এসে ব্যবসা শুরু করে অর্থ উপার্জন করছেন।

এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ১৯৬৮ সালে লন্ডনে মাদপার গ্রাম সমিতি গঠিত হয়েছিল। বিদেশে থাকা মদপারের লোক যাতে একসাথে মিটিং করতে পারে সেই জন্য এই সমিতিকে গড়ে তোলা হয়েছিল। মদপারেও এর একটি অফিস খোলা হয়েছিল যাতে মানুষকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত রাখা যায়। এই গ্রামের ৬৫ শতাংশ মানুষ বিদেশে বসবাস করলেও গ্রামের সঙ্গে তাদের শিকড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। বিদেশে বসবাস করেও এই গ্রামের মানুষগুলো খরচা করা স্বভাবের নয়। এদের অধিকাংশ অর্থই ব্যাংকে জমা থাকে। এই গ্রামে এখনও কৃষিকে কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এখানে তৈরি পণ্য বেশিরভাগই মুম্বাইতে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।