ভারতের এমন কিছু ট্রেন রুট যা সোজা নিয়ে যাবে এক অন্য দেশে, স্বপ্ন পূরণ হবে বিদেশযাত্রার

ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। ভারতে ১৯ শতকে প্রথম ট্রেনটি চালু হয়েছিল। অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলের সময় থেকে। আজ ১৮৬ তম বর্ষ পূর্ণ হলো ভারতীয় রেলের। ভারতীয় রেলের এই লাইন নেটওয়ার্ক বা লাইন প্রায় ১,১৫,০০০ কিমি এরিয়া জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। এই রেলওয়ে নেটওয়ার্কে প্রায় ৭৩৪৯ টি সেটেশন রয়েছে।

এই স্টেশন গুলি থেকে প্রায় ২০০০০ এর বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন ও ৭০০০ এর বেশি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। আজ আমরা আপনাদের রেলের সেই সব ট্রেন, রুট ও তার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আলোচনা করবো যার সাহায্যে খুব সহজেই কিছু ঘন্টার মধ্যে আপনি বিদেশ পৌঁছে যেতে পারবেন।

১) সমঝোতা এক্সপ্রেস: সমঝোতা এক্সপ্রেস একটি সাপ্তাহিক ট্রেন। এটি সপ্তাহে দুবার ভারতের নিউদিল্লি থেকে আটারি ও পাকিস্তানের লাহোরের মধ্যে চলাচল করে থাকে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত এটি দৈনিক ট্রেন ছিল। আপনার যদি ভ্যালিড পাকিস্তান ভিসা থাকে তবেই আপনি অমৃতসরের আটারি জংশন থেকে এই ট্রেনের টিকিট কিনতে পারেন। এই ট্রেনে, আপনি ৪ ঘন্টার মধ্যে ২৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবেন। এই ট্রেনটি শুধুমাত্র পাঞ্জাবের ওয়াঘা স্টেশনে থামে।

২) থার লিংক এক্সপ্রেস: ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক দ্বারা চালিত এই আন্তর্জাতিক ট্রেনটিও একটি সাপ্তাহিক ট্রেন। সপ্তাহে একবার যোধপুরের ভগত কি কোঠি স্টেশন থেকে পাকিস্তানের মুনাবাও জংশনের মধ্যে চলাচল করে এই ট্রেন। এই ট্রেনটি মাঝের কোনো স্টেশনে থামে না।ট্রেনটি ৫৪ কিমি/ঘন্টা গতিবেগে চলাচল করে। এই ট্রেনটির সাহায্যে ৬ ঘন্টার মধ্যে আপনি খুব সহজেই গন্তব্যে পৌউছাতে পারবেন। এই রুটের মধ্যে দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার। এছাড়া ট্রেনটিতে স্লিপার ক্লাস ও এসআরএল সহ ৯ টি কোচ বর্তমান রয়েছে।

৩) মৈত্রী এক্সপ্রেস: ২০০৮ সালে চালু হওয়া এই ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন ভারতের কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোর থেকে বাংলাদেশের ঢাকার মধ্যে চলাচল করে। এটি গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে ৯ ঘন্টারও কম সময় নেয়। ভারত থেকে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে ট্রেনটিকে ৩৭৫ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। এই ট্রেনের টিকিট কলকাতায় পাওয়া যায়। কিন্তু এই ট্রেনে করে যেতে গেলে আপনার কাছে ভ্যালিড বাংলাদেশে ভিসা ও পাসপোর্ট থাকতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় ট্রেনটি ২টি মুখ্য নদীকে অতিক্রম করে। ১০০বছরের পুরনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজে পদ্মা নদী এবং বঙ্গবন্ধু ব্রিজে যমুনা নদী।

৪) বন্ধন এক্সপ্রেস: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বারা ২০১৭ সালে চালু করা এটি একটি সাপ্তাহিক ট্রেন। বন্ধন এক্সপ্রেস প্রতি সপ্তাহে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে চলাচল করে। এটি একটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন যেখানে লাল-ধূসর এবং আকাশী রঙের কোচ রয়েছে। তবে ট্রেনে চড়ার জন্য একটি বৈধ ভিসার প্রয়োজন পরে। এই ট্রেনটি যশোরে যাত্রী তোলার জন্য ৩ মিনিট মতো দাঁড়ায়।