চীনকে আবারো বড়সড় ধাক্কা ভারতের, এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে ১৩ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র শস্ত্র

আফগানিস্থানে তালিবানি দখল চীন এবং পাকিস্তান যে শুরু থেকেই মদত দিয়ে আসছে একথা জানার ছিল । বর্তমানে আফগানিস্থান তালিবানদের দখলে। এইমত পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে চীন এবং পাকিস্তান যে বিপদের কারন হবে একথা প্রশাসন আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিল। লাদাখ সীমান্তে চীনের আস্ফালন এবং কাশ্মীরে পাকিস্তান ক্ষমতা দখলের লড়াই চালাচ্ছে । বর্তমানে এই ত্রিমুখী শক্তিকে চাপের মুখে ফেলতে শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারত। ইন্ডিয়ান ডিফেন্স কে আবার নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ।

চীন-পাকিস্তান এবং তালিবানদের একসাথে মোকাবেলা করার জন্য ভারতীয়দের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে উন্নত মানের অস্ত্র। সম্প্রতি ডিফেন্স ইকুইজিশন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ক্লিনার প্রস্তাবে সম্মতি জানানো হয়েছে। শত্রুপক্ষের সাথেই মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে দরকার পর্যাপ্ত অস্ত্রের। আর এই বিষয় নিয়ে বুধবার বৈঠক বসে। বুধবার বসা বৈঠকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জন্য হাতিয়ার কেনার ছাড়পত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নেতৃত্ব দেন এই বৈঠকের । প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া ছাড়পত্র ডিফেন্স ইকুইজিশন কাউন্সিল সম্মতি জানায়। বর্তমান পরিস্থিতিকে খতিয়ে দেখে স্থির হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে ১৩ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার হাতিয়ার তুলে দেয়া হবে এবং এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয়া হয় ডিএসি এর পক্ষ থেকে । অত্যাধিক অত্যাধুনিক হাতিয়ারের তালিকায় রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিগত হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে গাইডেড রকেট পর্যন্ত । ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এই ধরনের অস্ত্র থাকলে ফ্রন্টলাইন থেকে চীন এবং পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করা আরও সহজ হয়ে যাবে।

তবে এই 13 হাজার কোটি টাকার অস্ত্র বেশিরভাগই দেশীয় নির্মাণ সংস্থা থেকে কেনা হবে। এএনসিআই সূত্রে পাওয়া খবরে মোট কেনা অস্ত্রের ৮৭ শতাংশই দেশীয় নির্মাতাদের কাছ থেকে কেনা হবে অর্থাৎ প্রতিটি রক্ষার ক্ষেত্রে ভারত আরো আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে দেশীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে আনুমানিক ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার হাতিয়ার পাওয়া যাবে। এই হাতিয়ার গুলির মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের চাপার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গত হেলিকপ্টার( ২৫ টি ALH Mark llll)। এই উন্নত মানের চপার গুলি জওয়ানদের দ্রুত ময়দানে পৌঁছে দিতে সক্ষম। এছাড়া এই চপার গুলির মাধ্যমে স্থলসেনাদের পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই টাটা গোষ্ঠীর হাত ধরে ভারতীয় বায়ুসেনা কে আরও উন্নত করার জন্য পরিবহন বিমান কেনার উপর ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পেন থেকে ৫৬ টি মাঝারি পরিবহন বিমান কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পুরো প্রোজেক্টের জন্য ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। স্পেন থেকে ৫৬ টি সি- ২৯৫ নামক সামরিক পরিবহন বিমান কেনা হবে। এই চুক্তিতে বলা হয়েছে স্পেনের মাটিতে প্রথম পর্যায়ে ১৬ টি বিমান তৈরি করে তা আকাশপথে উড়িয়ে ভারতের মাটিতে আনা হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের মাটিতে তৈরি হবে আরও ৪০ টি বিমান।

টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে আগামী ১০বছরের মধ্যে বিমান তৈরি এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করা হবে । এই প্রথম ভারতীয় মাটিতে ভারতীয় সেনাদের জন্য বিমান তৈরি ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো এবং এই ধরনের প্রতিরক্ষা গঠনমূলক চুক্তি প্রথম স্বাক্ষর করা হল একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে। তবে সমস্ত দিক থেকে একটা কথাই বোঝা যাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রশাসন সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী ও মজবুত করতে শক্ত হাতে হাল ধরেছে।