প্রিয় বন্ধুরই জীবনে হয়ে উঠলেন খলনায়ক! সূর্য কুমার যাদবের দরুন ক্যারিয়ার শেষ হতে চলেছে এই ভারতীয় ক্রিকেটারের

এক ম্যাচেই সূর্যকুমার যাদব তার প্রিয় বন্ধুর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন

সদ্য প্রকাশিত টি-টোয়েন্টি রাঙ্কিংয়ের ২ ধাপ উঠে এসে সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) দু’নম্বর স্থান দখল করে নিয়েছে। সূর্যকুমার যাদবের খেলার স্টাইল আলাদা করে বলার কিছু নাই। তাকে ভারতের ৩৬০° খেলোয়াড় মনে করা হয়। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি (T-20) সিরিজে বিরাট কোহলি, শেখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল ও ঈশান কিষনের অনুপস্থিতিতে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিং করার সুযোগ পান সূর্যকুমার যাদব। আর সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে তার প্রিয় বন্ধুর শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন জানি পুরো খবর!

Suryakumar yadav

হ্যাঁ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্ট সিরিজে ওপেনিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন সূর্য কুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। যেখানে তিনি প্রথম দুটো ম্যাচ ধারাবাহিকতা না দেখাতে পারলেও শেষ ম্যাচে মন জয় করে নিয়েছিল গোটা ভারতবাসীর। যেখানে তিনি মাত্র ৪৪ টি বল খেলে ৭৬ রান করেছিলেন এবং স্ট্রেইকরেট ছিল ১৭২.৭২। সূর্য কুমার যাদবের এই ইনিংস সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও তিনি হয়েছিলেন।

সূর্য কুমারকে প্রথম দুই ম্যাচ ব্যর্থতার কারণে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু তার সিরিজ জয়ের ইনিংসটি পরবর্তী সফর পাক্কা করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি তৃতীয় ম্যাচেও সূর্যকুমার যাদব ওপেনিং-এ ব্যর্থ হতেন তাহলে তার জায়গায় ঈশান কিষানকে (Ishan kishan) খেলানো হতো। এদিকে ঈশান কিষানও ওপেনিংয়ে ভালো পারফরমেন্স করে থাকেন। তাই এখন বিবেচনা করা কঠিন হয়ে যাবে। এখান থেকে মনে করা হচ্ছে ঈশান কিষানের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে সূর্যকুমার যাদব।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, ভারতীয় ক্রিকেটে (Indian Cricket) ঈশান কিষানের পথের কাঁটা সূর্য কুমার যাদব। কারণ তার এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে পাওয়া গেছে। এই ম্যাচের ফলাফলই ঠিক করে দিত সিরিজ কাদের। সেই জায়গায় সূর্যকুমার একজন গেম চেঞ্জার হয়ে খাঁড়া ছিলেন। তার ৪৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ ওভার বাউন্ডারি ও ৮ বাউন্ডারি। যা একটা ঝকঝকে ইনিংসের সাথে সিরিজ জয়।

Suryakumar yadav

সূর্যকুমার যাদব ও ঈশান কিষান প্রিয় বন্ধু:-
তাদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিক দিয়ে বিচার করলে, তারা অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের দুজনকে একই সাথে অনেকবার খেলতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, আইপিএলে তারা একে অপরের পরিপূরক। একই দলের হয়ে বেশ কয়েক বছর তারা পারফরমেন্স দিয়ে আসছে। একে অপরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অনেকবার সামনে এসেছে।