জলাশয় শুকিয়ে বেরিয়ে এল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর, মাটির আসবাবপত্র পর্যন্ত রয়েছে সুরক্ষিত

পৃথিবীতে কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেখানে প্রচন্ড মাত্রায় গরম পরেছে। এই দেশ গুলিতে গরমের কারণে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার জলাশয় গুলি গরমের কারণে শুকিয়ে পর্যন্ত গেছে। অতিরিক্ত গরম পরা দেশগুলির মধ্যে ইরাক হলো অন্যতম একটি নাম। এই দেশেও প্রচন্ড পরিমানে গরম পড়েছে এবং গরম পরার কারণে অনেক জলাশয় শুকিয়ে গেছে যার ফলে মানুষদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তবে অতিরিক্ত গরমের ফলে ইরাকে (Iraq)সমস্ত জলাশয়ের জল শুকিয়ে যাওয়ায় একটি নতুন জিনিসের আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। ইরাকের একটি জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় সেই জলাশয়ের নিচ (under water) দিয়ে ৩৪০০ বছরের পুরনো শহরের (city) খোঁজ পাওয়া গেছে। এতো দিন এই শহরটি জলের নিচে ছিল। উত্তর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে টাইগ্রিস নদীর তীরে মসুল জলাধারে কুর্দি এবং জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে খনন করেছিলেন। খননের পর প্রচুর চীনামাটির বাসন ও ১০০ টিরও বেশি অভিলেখাগার পাওয়া গেছে যা শহরে যা অত্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।

Found city under water

ইরাকের (iraq) এই প্রাচীন শহরটি(city) একসময় উত্তর মেসোপটেমিয়ার ইন্দো-ইরানি রাজ্য মিতান্নির টাইগ্রিস নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। ইরাক বর্তমানে তীব্র খরার কবলে পড়েছে, যার কারণে দেশের বৃহত্তম জলাশয় শুকিয়ে গেছে এবং জলের তলা (under water)দিয়ে এই বৃহত্তম শহরটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। কুর্দি ও জার্মান গবেষকদের একটি দল এই শহরটি আবিষ্কার করেছে। এছাড়া জানিয়ে দি প্রচণ্ড তাপ থেকে ফসল বাঁচাতে ইরাককে মসুল বাঁধ থেকে পানি ছাড়তে হয়েছে সেখানকার মানুষদের।

শহরটি খনন করার সময়, প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি প্রাসাদ ও অনেকগুলি বিশাল আকৃতির বিল্ডিংয়ের খুঁজেবার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল বিল্ডিং রয়েছে যা স্টোরেজ ও শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হতো হয়তো।
এই শহরের দেওয়ালগুলি ভালোভাবে সংরক্ষিত করা যা খোঁজকারীদের সত্যি অবাক করে দিয়েছে। এতো দিন পর্যন্ত মনে করা হয়েছিল যে 1350 সালে হওয়া ভূমিকম্পে শহরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে কিন্তু পুনঃরায় এই শহরটি আবিষ্কার হওয়া সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।

City'under water

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল শহরে পাওয়া পাঁচটি মৃৎশিল্পের আইটেম যার মধ্যে ১০০ টিরও বেশি অভিলেখাগার রয়েছে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে তাদের মধ্যে এমন অনেক অক্ষর থাকতে পারে যা এখনও তাদের মাটির খামের ভিতরে রয়েছে। কোনো ক্ষতি এড়াতে শহরে আবিষ্কৃত জিনিসগুলো প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।