মুম্বাই হামলার কয়েকটি ছবি, যা আজও কাঁপিয়ে তোলে ভারতীয়দের বুক

ভারতের মানুষের জন্য অভিশপ্ত দিন হল আজকের দিনটি অর্থাৎ ২৬ শে ডিসেম্বর। এই দিনটি এমনি এক ধ্বংসাত্মক দিন যা আজও ভারতীয়দের মনে পড়লে বুক কেঁপে ওঠে। ২০০৮ সালে আজকের দিনেই পাকিস্তানের মদতে কুখ্যাত জঙ্গি লস্কর-ই-তৈয়বা গোষ্ঠী মুম্বাই শহর ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলো। বিস্ফোরণএ বহু মানুষ নিহত হয়েছিল।

১৩ বছর হয়ে গেলেও ভারতবাসী আজও দিনটিকে কালো দিন হিসেবে ধরে থাকে। তবে দিনটি শুরু হয়েছিল সাধারণ দিনের মতো। কারোর কোনোই ধারণা ছিলো না, কতটা ভয়ঙ্কর দিন হতে চলেছিলো সেদিন। হটাৎ রাত ৯ টার দিকে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজির টার্মিনাসে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছিলো। এরপর দুই সন্ত্রাসবাদী মুম্বাইয়ের বিখ্যাত রেল স্টেশনে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে সাধারণ মানুষের ওপর। এরপর তাজ হোটেলে হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

আর্থিক রাজধানী মুম্বাই শহর কালো মেঘে ঢাকতে শুরু করেছিল। মানুষের মধ্যে ভয়ংকর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। হোটেল ওবেরয়এ সন্ত্রাস নিধন করতে দুদিন লেগেছিল অর্থাৎ ২৮ শে নভেম্বর পযর্ন্ত। ওই দিন সন্ধ্যায় নরিমান হাউসটি তে সন্ত্রাস মুক্ত করেছিলেন মুম্বাই স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ। তবে তাজ হোটেলের এনকাউন্টার শেষ হয়েছিলো ২৯ শে নভেম্বর। টানা তিন দিন পর ভারতের মুম্বাই শহর থেকে সন্ত্রাস মুক্ত হয়েছিলো।

এই ভয়াবহ ঘটনার আগে হামলা কারীর দল করাচি থেকে বোর্টএ করে মুম্বাই এসেছিলো। মোট ১০জন এসেছিল। এর মধ্যে তিনজন ভারতীয় ছিল। স্থানীয় মারাঠাভাষী মৎস্যজীবীদেরও সন্দেহ হয়েছিলো ওই লোকেদের অধৈর্যতা দেখে। মৎস্যজীবীরা পুলিশকে জানালেও, পুলিশ অফিসাররা কোনো পাত্তা দেননি ব্যাপারটায়।

এই মারাত্মক হামলায় নিহত হয়েছিল ১৬০ জনেরও বেশি। আহত হয়েছিল ৩০০জনেরও বেশি। ৯ জন সন্ত্রাসী এনকাউন্টারেই নিহত হয়েছিল। ১জন সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং তার ফাঁসি হয়েছিল।

Related Articles

Back to top button