এবার করা যাবে পুকুরেই ইলিশ চাষ, নতুন উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নামছে রাজ্য সরকার

কথাতেই আছে, “মাছে ভাতে বাঙালি”। বাঙ্গালীদের ভাতের সঙ্গে প্রধান খাবারই হলো মাছ। আর সেই মাছ যদি ইলিশ হয় তাহলে তো কোন কথাই নয়। কিন্তু বর্তমানে বাজারে যেভাবে ইলিশের দাম তা অনেক সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। আবার একটা ব্যাপার হলো, পয়সা দিয়েও সব ঋতুতে বাজারে ইলিশের জুড়ি মেলা ভার। যার কারণে এইবার নবান্ন পুকুরে ইলিশ চাষ করার উদ্যোগ নিতে চলেছে। আসুন জানা যাক পুরো খবর।

হ্যাঁ বন্ধুরা, ঘটনাটি চমকপ্রদ হলেও সত্যি এইবার পুকুর থেকেই রুই-কাতলার মতো উঠবে বাঙ্গালীদের স্বাদের ইলিশ মাছ। হয়তো অনেকেই অবাক হচ্ছেন এই নোনা জলের মাছ কিভাবে পুকুরে প্রভাব বিস্তার করবে। হ্যাঁ, যাতে গ্রাম গঞ্জের পুকুরেই ইলিশ চাষ হয় তার ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন স্যামন চাষে সাফল্য পাওয়া ‘নোরওয়েন ইনস্টিটিউট অফ ফুড ও ফিশারিজ এন্ড একুয়াকালচার রিসার্চ’।

খবর সামনে এসেছে, রাজ্য মৎস্য দপ্তর আধিকারিকরা খুব শীঘ্রই একটি বৈঠক করবেন বিখ্যাত এই মৎস্য গবেষণা সংস্থার সঙ্গে। এই মৎস্য চাষের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, চারা ইলিশ সংগ্রহ করা থেকে তাকে বড়ো করা পর্যন্ত অর্থাৎ তার দেখাশোনা সবটাই ‘নফিমা’ প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করবে। মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, “ইলিশ শুধু মাছই নয়, এটা বাঙ্গালীদের কাছে একটা আবেগ ও ভালোবাসা।

বর্তমানে আবহাওয়া ও ভূ-প্রকৃতি বদলে যাওয়ার জন্য গঙ্গায় সেইভাবে আর ইলিশ মাছ দেখতে পাওয়া যায় না। যার কারণে ইলিশ মাছের জন্য বাঙ্গালীদের বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। সেই কারণে পুকুরে ইলিশ চাষ এর উদ্যোগ নেওয়া হলো।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইলিশ চাষ করার জন্য মুরশিদাবাদের ফারাক্কার কাছে গঙ্গা লাগোয়া কয়েকটি পুকুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এমনকি এক একটি পুকুরের জন্য 50 লক্ষ করে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হচ্ছে মাসখানেকের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের উপর জোর কদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।