এই ট্রেন ট্র্যাকে থাকলে, থেমে যায় রাজধানী, শতাব্দী, বন্দে ভারতও! কারণ শুনলে হবে চক্ষুচড়কগাছ

রেলপথে কোথাও যেতে হলে, যাত্রীদের প্রথম পছন্দ রাজধানী, শতাব্দী কিংবা বন্দে ভারতের মত ট্রেন। এই ট্রেনগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে অনেক সময় এমনও দেখা যায়,এই ট্রেনকে গুরুত্ব না দিয়ে, বিশেষ একটি ট্রেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে রেল। অর্থাৎ, ট্রাকে যদি রাজধানী, শতাব্দী এবং বন্দে ভারত ট্রেন থাকেও, তাহলে সেই ট্রেনকে থামিয়ে দিয়ে লাইন পরিস্কার করে দেওয়া হয় এই বিশেষ ট্রেনের জন্য।

আসল বিষয়টা হল, দুর্ঘটনাস্থলে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য ট্রেন দুর্ঘটনার সময় দুর্ঘটনা ত্রাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম (ARME) ট্রেন ব্যবহার করা হয়। এই ট্রেনটিকে অন্য সব ট্রেনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর আগে যদি রাজধানী বা শতাব্দীর মতো ট্রেনও চলতে থাকে, তাহলে সেগুলো থামিয়ে এই ট্রেনে যাওয়ার পথ দেওয়া হয়। সেই কারণে এই ট্রেনকে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

img 20230503 191845

আবার ভারতের রাষ্ট্রপতির ব্যবহৃত ট্রেনটিকেও উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অর্থাৎ, কোন কারণে যদি দেশের রাষ্ট্রপতি ট্রেনপথে সফর করেন, তাহলে সেই সময় অন্যান্য ট্রেনকে থামিয়ে, সেই ট্রেনের জন্য আগে লাইন পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রেলপথে নয়, আকাশথেই বেশিরভাগ সময় যাত্রা করেন দেশের রাষ্ট্রপতি। এতে করে সময়ও বাঁচে এবং তাঁর সুরক্ষার দিকটাও আরও বেশি পাকা হয়।

img 20230503 191833

ভারতের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ অগ্রাধিকারের ট্রেন হল রাজধানী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে একদিকে যেমন বিলাসবহুল সুবিধা রয়েছে, তেমনই অন্যদিকে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারে এই ট্রেন। সেইসঙ্গে এই ট্রেনের জন্য লাইনে থাকা অন্যান্য ট্রেনকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গুরুত্বের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শতাব্দী এক্সপ্রেস। এই সুপারফাস্ট ট্রেন একদিনেই তার যাত্রা শেষ করে। দূরপাল্লার ভ্রমণ ট্রেনের মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় দুরন্ত এক্সপ্রেসকে। ২৯৯০ সালে চালু হওয়া এই ট্রেনও কিছুটা গুরুত্ব পেয়ে থাকে।