জানুন ভারতকে কেন বলা হতো বিশ্বগুরু, এতে নালন্দার যোগদান কতটা

প্রাচীন ভারতে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হয়েছিল। ভারতের গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তএর তত্বাবধানে বানানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। এটি বিহারে অবস্হিত। এখানে অর্থনীতি, গণিত শাস্ত্র এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হতো। প্রথম বাঙালি পন্ডিত শীলভদ্র এখানে অধ্যাপক হিসেবে ছিলেন।

দেশ বিদেশে বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীরা এখানে পড়তে আসতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজার জন ছাত্রছাত্রী ছিল। প্রায় ১০০ জন মতো শিক্ষক শিক্ষিকা পড়াতেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনেস্কও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিবছর পর্যটকরা বিহারের নালন্দা জেলায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। শুধু দেশীয় পর্যটকরাই এখানে ঘুরতে আসেন না, তার সাথে বিদেশি পর্যটকরাও এখানে ভ্রমণ করতে আসেন।

কথিত আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গৌতম বুদ্ধের ভালো সম্পর্ক ছিল। আবার অনেকের মতে সপ্তম শতাব্দীর যুগে ভারতে পরিভ্রমন করতে আসেন চীনের বাসিন্দা হিউয়েন সেং। তিনি ‘নালন্দা’ নামের একটি সাপের কথা লিখেছিলেন। তিনি নালন্দা জেলার একটি আম বাগানে সাপটি দেখতে পান। পরে ওই স্থানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হয়েছিল।

আবার অনেকের মতে, গৌতম বুদ্ধ ওই বাগানে বসে ধ্যান করতেন। এই কারণে প্রবিত্র স্থান হিসেবে মেনে এই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর পুরো খরচ দিয়েছিলেন গুপ্ত শাসক প্রথম কুমারগুপ্ত আই। যদিও একটা সময়ে গুপ্ত রাজবংশ পতনের পর সম্রাট হর্ষবর্ধন এবং পাল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতাও পেয়েছিল। তাছাড়াও স্থানীয় শাসক, আঞ্চলিক শাসক এবং বিদেশি শাসক অনুদান দিয়েছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।