৩৭৪ কোটি টাকা খরচ করে ভারতের এই স্থানে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলব্রিজ

ভারতের এই স্থানে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলব্রিজ

ভারতীয় রেল (Indian railways) একটি নতুন কিছু অর্জন পেতে চলেছে। সব দেশের উন্নয়ন আজ চরমে পৌঁছেছে। রেল (Indian railways) হোক বা সড়ক, এর নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত। ভারতও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এই সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে, ভারতীয় রেল একটি নতুন অর্জন পেতে চলেছে। আমরা জানি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রেলসেতু ইউরোপেই আছে।

এখন ইউরোপকে পেছনে ফেলে ভারত (India) প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত, ইউরোপে অবস্থিত মতিনেগ্রো মালা রিজেকা ভায়াডাক্ট বৃহত্তম রেল সেতু এমনটাই জানা যায়। এই সেতুটি ১৩৯ মিটার উঁচু। তবে এখন ভারতীয় রেলওয়ে যে ব্রিজটি তৈরি করবে তা এর থেকে অনেক বেশি বড় হবে।

মণিপুর ইম্ফালে তৈরি হতে চলেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু

এই সেতুটি ভারতীয় রেল নির্মাণ করবে। এর ১১১ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র ২ ঘন্টায় কাভার করা হবে। এই সেতু তৈরির খবরে শুধু রাজ্য নয় কেন্দ্রীয় সরকারও বেশ উচ্ছ্বসিত। ভারতীয় রেলের এই অর্জনকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। যখন এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা করা হয়, তখন এটির নির্মাণকারী কর্মকর্তারা অধিকাংশই খুশি। এই সেতুর জন্য মণিপুরের ইম্ফল-জিরিবামে জাল ফেলার প্রস্তুতি চলছে। এর পিলার তৈরির কাজ এখনো চলছে।

ইউরোপের সর্বোচ্চ রেলসেতু থেকে ২ মিটার উঁচু

মণিপুরের রেললাইনে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে পোল হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যার ওপর সেতু নির্মাণ করা হবে। এর উচ্চতা হবে ১৪১ মিটার। যা ইউরোপে অবস্থিত সর্বোচ্চ রেল সেতুর চেয়ে 2 মিটার বেশি। এই রেললাইনটি সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে মণিপুর অনেক রাজ্যকে ইম্ফলের সঙ্গে যুক্ত করবে। এভাবে একটি ব্রডগেজ নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এটি নির্মাণের পরে, দিল্লি থেকে ইম্ফলের দূরত্ব মাত্র কয়েক ঘন্টা হবে। এই সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলীরা বলছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে এই রেল প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।

এই সেতুটি ২০২৩ সালের মধ্যে তৈরি হবে

যে দলটি এই সেতুটি তৈরি করছে, তার ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ শর্মা। কে জানান, প্রথম পর্যায়ে এই সেতুর ১২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তদনুসারে, আশা করা হচ্ছে যে ২০২২ সালে এর দ্বিতীয় পর্বটিও শেষ হবে। একই তৃতীয় পর্যায় খংসাং থেকে টুপুলের মধ্যেও কাজ চলছে, যা ২০২২ সালেই শেষ হবে। এর চতুর্থ পর্যায় এখনও শুরু না হলেও শিগগিরই এর কাজও শুরু হবে। তাই সহজেই বলা যায় ২০২৩ সালের মধ্যে এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে।

খরচ হবে ৩৭৪ কোটি টাকা

ইম্ফলে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর ব্যয়ের কথা বললে, আনুমানিক ৩৭৪ কোটি টাকা খরচ হবে। এই সেতুটি নির্মিত হলে আমাদের দেশ উন্নত দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে শুরু করবে। এই সেতুটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু বলা হবে। যেহেতু এই সেতু নির্মাণে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোকে টক্কর দেবে, তাই এই সেতুর কাজ আরও ভালো হওয়া উচিত। সময়মতো এর কাজ শেষ করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সেতু নির্মাণের ফলে ভারত সবচেয়ে বড় অর্জন পাবে।