সরকারি চাকরি ছেড়ে শুরু করেন অ্যালোভেরার চাষ, আজ বার্ষিক উপার্জন করেন কোটি কোটি টাকা

নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগান অ্যালোভেরা প্ল্যান্টে, আজ বড় বড় কসমেটিক কোম্পানিতে সরবরাহ করে কোটি টাকার উপার্জন

কথায় আছে সঠিক দিশায় কঠোর পরিশ্রম সাফল্য একদিন পায়ের চুমু খাবে। এই দুনিয়ায় আমরা সাফল্যের কাহিনী অনেক শুনেছি। কিন্তু এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো যিনি সাফল্য থেকে উচ্চসাফল্যে পা দিয়েছেন। যিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে অ্যালোভেরা চাষ (Aloe Vera Farming) করে বড় স্বপ্নের পথে হেটেছেন। আসুন জানা যাক সাফল্যের নেপথ্য কাহিনী (Success Story)।

Harish dhandev

 

হ্যাঁ, আমরা আপনাকে রাজস্থানের (Rajasthan) হরিশ ধনদেবের কথা বলতে যাচ্ছি। যিনি ২০১২ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পান। কিন্তু সরকারি চাকরি করতে করতে তার মনস্থির হয় অন্যদিকে। তার স্বপ্ন ছিল বড়। হরিশ অর্থ উপার্জনের অন্য উপায় খুঁজতে শুরু করে। অবশেষে তিনি বিকানের কৃষি বিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের খোঁজ পান যিনি হরিশকে অ্যালোভেরা চাষের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

যদিও প্রথমের দিকে অ্যালোভেরা চাষ সম্পর্কে তার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু তিনি আগ্রহি থাকায় এক কৃষি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন যেখান থেকে তিনি অ্যালোভেরা চাষের অভিজ্ঞতা পান। তারপর তিনি ফার্মের জন্য ২৫ হাজার অ্যালোভেরা চারা কিনে নিজের এলাকায় নিয়ে আসেন। তিনি যখন চাষের জন্য নিজের এলাকায় অ্যালোভেরা চারা নিয়ে আসেন তখন আশেপাশের অনেক কৃষক বলেছিলেন, তারাও অ্যালোভেরা চাষ (Aloe vera Plant) করবে ভেবেছিলেন, কিন্তু বিক্রির সমস্যার জন্য সফল হয়নি। সেখান থেকে হরিশের মধ্যে অভিজ্ঞতা হয় শুধু অ্যালোভেরা চাষ করে কিছু হবে না, সেটিকে ভালোভাবে বাজাররত করতে হবে।

Aloe vera farming

তারপর হরিশ অ্যালোভেরা গাছ লাগানোর সাথে সাথে নিজের এলাকা জয়সালমেরের কিছু কসমেটিক কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কোম্পানিও হরিশের আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়। এলাকার কোম্পানিগুলির কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়ে তিনি নিজের চাষ বাড়াতে থাকেন। হরিশ সারা ভারতে খ্যাতি অর্জনের জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নেন।

হরিশ তার ব্যবসার আরও প্রভাব বিস্তার করতে ইন্টারনেটে অ্যালোভেরার সবচেয়ে বড় ক্রেতার খোঁজ শুরু করেন। যেখান থেকে তিনি বাবা রামদেব জির ‘পতঞ্জলির’ বিজ্ঞাপন দেখতে পান। যেখান থেকে তিনি পতঞ্জলি ওয়েবসাইটে গিয়ে তার ব্যবসার সম্পর্কে একটি ইমেইল পাঠিয়েছিল। তার কিছুদিন পরেই তাকে এ ব্যাপারে দেখা করতে বলেছিল পতঞ্জলি সংস্থা।

Aloe vera plant

পতঞ্জলিও হরিশের আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়। তিনি বলেন পতঞ্জলির সঙ্গে কাজ করে তার ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হরিশ পতঞ্জলির মতো আরও অন্যান্য বড় সংস্থায় অ্যালোভেরা সরবরাহ করেন। যেখান থেকে তিনি বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। তবে শুধু হরিশই নন, তার তৈরী কোম্পানি ‘Naturelo Agro’ তে অনেকের কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে।