চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে! বাঙালিদের মনে চিরজীবন অমর হয়ে থাকবে ঐন্দ্রিলার এই ৫ টি সিরিয়াল সহ সিনেমা

দীর্ঘ ২০ দিন লড়াইয়ের পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (aindrila sharma), একা করে চলে গেলেন তাঁর কাছের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ অর্থাৎ প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে (sabyasachi chowdhury)। রবিবার বেলা ১২ টা বেজে ৫৯ মিনিটে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। সকলে মিলে একটা মিরাক্কেলের আশা করলেও, এবারে হল না কোন মিরাক্কেল। না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন সব্যসাচী। সৌরভ জানান, ‘ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর খুবই ভেঙ্গে পড়েছে সব্য। ভেঙ্গে পড়েছে ঐন্দ্রিলার পরিবারও। আমি ওকে বলেছি একফোঁটাও চোখের জল না ফেলে ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। এতদিন ধরে স্যোশাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর ভাগ করে নিচ্ছিল সব্যসাচী (sabyasachi chowdhury)। তাই আপনারা যদি ভাবেন ও এখনও ফেসবুকে পোস্ট করবে, তাহলে ভুল করবেন। যে ”মিষ্টি”র কথাতেই ও লিখতে শুরু করেছিল, সেই আর না থাকায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কিছু লিখবে না বলেই জানিয়েছে সব্য’।
জানিয়ে রাখি, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতেই ২০১৭ সালে টেলিভিশন জগতে পা রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী। আর প্রথম ধারাবাহিক ‘ঝুমুর’র সেটেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সব্যসাচী চৌধুরীর। প্রথমে তাদের মধ্যে বন্ধত্বের সম্পর্ক থাকলেও, তা ধীরে ধীরে মোড় নেয় ভালোবাসার সম্পর্কে। আর তারপর থেকে ঐন্দ্রিলার জীবনের শেষদিন অবধি তাঁর পাশে ছিলেন সব্যসাচী।
এরপর একে একে জীবন জ্যোতি, জিয়ন কাঠি সহ বেশকিছু ধারাবাহিকে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। এখানেই শেষ নয়, ২০২০ সালে বড়পর্দায় ‘আমি দিদি নম্বর ১’ চলচ্চিত্রে অভিনেতা আদৃত রায়ের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (aindrila sharma)।
এছাড়াও হৃতজিৎ মুখার্জির সঙ্গে ‘লাভ ক্যাফে’ চলচ্চিত্রেও দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। তাঁর শেষ দেখা গিয়েছিল সব্যসাচী চৌধুরী, রজতাভ দত্ত, অম্লান মজুমদারের সঙ্গে ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজে। তারপর তাঁর হাতে কিছু কাজ থাকলেও, তা অসমাপ্তই রয়ে যায়।