মিশরে পাওয়া গেলো সোনার জিভ ওয়ালা মমি! দেখে চোখ কপালে পুরাতত্ত্ববিদদের

মিশরে পাওয়া গেলো সোনার জিভ ওয়ালা

মিশর (Mishor) মমির দেশ। প্রাচীন মিশরের রীতি অনুযায়ী কেও মারা গেলে তাদের মমি (Mummy) করে রাখা হতো। পিরামিডে রাখা হতো এই মমি গুলি। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এই মমি। আজও মিশর থেকে পাওয়া যায় মমি। উঠে আসে নতুন এবং অদ্ভুত ধরণের সব তথ্য। সম্প্রতি মিশর থেকে এক মমির সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এই মমি থেকে পাওয়া গেল সোনার তৈরি জিহ্বা (Tongue of Gold)। চলুন প্রতিবেদন থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

Misoriyo momi

 

মৃত দেহ সংরক্ষণ করে রাখার সময় মৃত দেহের সঙ্গে রাখা হতো সোনার অলংকার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। তাই মমির কাছ থেকে সোনা পাওয়া কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়। তবে মমির ভিতর থেকে সোনার জীব পাওয়া বড়ই আশ্চর্যের। সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকরা (Archaeologists) মিশরের একটি প্রাচীন মমি থেকে সোনার নগেট বা জিভ উদ্ধার করেছেন। সেন্ট্রাল নীল ডেল্টার কুয়েসনা নেক্রোপলিস থেকে এটি মিলেছে। এটি কোনো একটি মমিতে নয়, বরং অনেক মমিতে মিলেছে।

সেন্ট্রাল নীল ডেল্টার কুয়েসনা নেক্রোপলিস মিশরের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট। এই সাইটের অন্য একটি দিক থেকে পাওয়া গেলে সোনার জিহ্বা সহ মমি। এখান থেকে যে মমিগুলি পাওয়া গিয়েছে, তাতে মিলেছে অনেক সোনা। এ বিষয়ে মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রক জানিয়েছেন, ‘মৃত ব্যক্তিরা যাতে পরকালের দিকনির্দেশনা পেতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সোনার তৈরি জিহ্বাটি মমির উপর স্থাপন করা হতে পারে।’

Tougue

তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও প্রত্নতাত্ত্বিকরা মমি থেকে সোনার জিহ্বা খুঁজে পেয়েছিলেন। এর আগে ২০২১ সালে মিশরের আরেকটি প্রাচীন সাইট খনন করে একটি খুলি পাওয়া গিয়েছিল। এই খুলির মধ্যে জিহ্বা আকৃতির সোনার পাতা পাওয়া গিয়েছিল। এটি দেখতে অনেকটা সোনার অলংকারের মতো। এরপর ওই বছরের শেষ দিকে নাগাদ একজন পুরুষ, একজন মহিলা এবং একটি শিশুর মমি উদ্ধার করা হয়েছিল। যা প্রায় ২,৫০০ বছরের পুরানো। এই মমিগুলিতেও পাওয়া গিয়েছে সোনার জিহ্বা।