এবার থেকে ভ্রমণের সময় ট্রেনের ভেলপুরি খেতে গেলে দুবার ভাববেন যাত্রীরা, ভাইরাল ছবি

লোকাল ট্রেন হোক কী এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা যে কোনো দূরপাল্লার ট্রেন সবক্ষেত্রেই বিভিন্ন রকম হকারদের দেখা মেলে । ট্রেনের হকাররা প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বা ভাজাভুজি বিক্রি করে থাকে। এমনকি ট্রেনের হকারদের থেকে কাটা ফল থেকে ডিম সেদ্ধ সবই পাওয়া যায় । একঘেয়েমি ভ্রমণ যাত্রা কে অন্য মাত্রা দিতে যাত্রীরা বিভিন্ন রকমের খাবার কিনে খেয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশির ভাগ যাত্রীরাই পছন্দ করেন মসলাজাতীয় খাবার যেমন ঝাল মুড়ি ,ভেলপুরি,চাট ইত্যাদি।

তবে ট্রেন ভ্রমণ এর সাথে ভেলপুরি শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ট্রেনে উঠে আমরা কমবেশি অনেকেই ভেলপুরি খেয়ে থাকি । কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ছবি উঠে এসেছে যার ফলে ট্রেনে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা ট্রেনের ভেলপুরি কিনে খাবার আগে দু’বার ভাববেন। ভারতের সবথেকে সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ যোগাযোগ ব্যবস্থা হল ট্রেনের যোগাযোগ। ট্রেনে সব থেকে নিরাপদে এবং আরামদায়ক ভাবে যাত্রা করা যায়। সে নিত্যান্ত কাজের দরকার ই হোক বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।

বেশিরভাগ মানুষই ট্রেনে ভ্রমণের সময় চা, ছোলা, ভেলপুরি ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকেন। কারণ অত্যন্ত কম পয়সায় এ সমস্ত খাবার মেলে এবং সহজেই তা পেট ভরে। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ছবি উঠে এসেছে যার ফলে সত্যিই যাত্রীদের পক্ষে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আপনাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখা ভাল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের টয়লেটের মধ্যে ভেলপুরির বা ছোলা ভেলের একটি ঝুড়ি রাখা রয়েছে ।

যা দেখার পর ছোলাভেল প্রেমীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। ট্রেনে টয়লেট সত্যিই একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।সেখানে কোন খাদ্যবস্তু রাখাটা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর । নিতান্ত পেটের দায়ে জীবিকা অর্জনের জন্য হকাররা ট্রেনে এসব বিক্রি করেন। অনেক সময় বাধ্য হয়েই যেখানে-সেখানে নামাতে হয় তাদের বিক্রির ঝুলি । কিন্তু তা বলে জনস্বাস্থ্যকে মাথায় রাখা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে । জীবিকার নাম করে এই ধরনের মানুষেরা জনসাধারণের স্বাস্থ্যর সাথে অবহেলা করছে। এই ধরনের অসাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা খাবার খেয়ে যে কোন সময়ে একাধিক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

Related Articles

Back to top button