ব্রিটানের সমুদ্রতীরে মৎসকন্যা! সাঁতরে যান সমুদ্রের ৫০ ফুট নীচে
সমুদ্রতীরে মৎসকন্যা
বিভিন্ন গল্প থেকে শুরু করে সিনেমাতে মৎস্যকন্যার (Mermaid) রূপ অনেকেই হয়তো দেখেছেন। তবে তা কখনো চোখে দেখার সুযোগ হয়নি। কেননা এটি একটি রূপকথার রূপ। বাস্তবে আদেও মৎস্য আছে কিনা সে নিয়ে কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও বহু অভিযাত্রী থেকে শুরু করে নাবিক এই প্রাণী দেখেছেন বলে দাবি করে থাকেন। তবে বিজ্ঞান বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এই মৎসকন্যার কাল্পনিক রূপটি হলো উপরের দিকে সুন্দরী রমণীর মতো দেখতে, আর কোমর থেকে নিচের দিকে মাছের মতো দেখতে। তবে সম্প্রতি ব্রিটেনের এক মহিলা মৎসকন্যা হয়ে উঠলেন। ছবি বেশ ভাইরাল (Viral) হচ্ছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।
ব্রিটেনের কর্নওয়ালের (Cornwall In Britain) এক বাসিন্দা এমা হারপার (Ema Harper) বাস্তবে মৎসকন্যা হয়ে উঠলেন। তাঁর বয়স ৪১। ছোট থেকেই তাঁর মৎস্যকন্যা সাজার খুব শখ ছিল। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। ৪১ বয়সে সেই ইচ্ছা পূর্ণ হলো। আসলে তিনি একটি ডুবসাঁতারের স্কুলে ‘স্কুবা ডাইভিং’ সেখান। পেশায় তিনি একজন জলকেলি শিল্পী।
তবে এর পাশাপাশি তিনি সমুদ্র সংরক্ষণ, জলদূষণ ও ডাইভিং নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন। আর সে জন্যই তাঁকে মৎস্যকন্যার বেশ ধরতে হয়। পরিচিতরা তাঁকে ‘মিসচিফ দ্য মারমেড’ (Mischief The Mermaid) বলে ডাকেন। যার অর্থ দুষ্টু মৎস্যকন্যা। প্রসঙ্গত, মৎস্যকন্যা সাজার জন্য তিনি লেজ পড়েন। যেটি সিলিকনের তৈরি কৃত্রিম লেজ। এটি পরেই তিনি সমুদ্রে সাঁতার কাটেন। তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, কেবল সমুদ্রতটে বসে ছবি তোলার জন্য নয়, সচেতনতা প্রচারের জন্যই এই কাজ করেন। এই কাজে তাঁর মনও বেশ ভালো থাকে বলে জানিয়েছেন ওই শিল্পী।
এমার ৩ সন্তান রয়েছে। তারপরও এই কাজ তিনি সাহসের সঙ্গে করে চলেছেন। এর জন্য তাকে যে পোশাকটি পড়তে হয়, যার ওজন ১৫ কেজি। এত ভারী পোশাক পরে তাঁকে সাঁতার কাটতে হয়। যা মোটেই সহজ কাজ নয়। এত ভারী পোশাক পরে কখনো কখনো তাঁকে সমুদ্রের ৫০ ফুট গভীর পর্যন্ত যেতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, তিনি সমুদ্রের ৬৫ ফুট গভীর পর্যন্ত যেতে পারেন এবং ৪ মিনিট পর্যন্ত শ্বাস ধরে রাখতে পারেন। এ কাজ করার জন্য তাঁকে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা শরীরচর্চা করতে হয়।