এক মাছেই ভাগ্য বদলে গেল মৎস্যজীবীর! বেলায় জালে ওঠে প্রায় ২৫ কিলো ওজনের ওই তেলিয়া ভোলা প্রজাতির মাছ
মাছেই ভাগ্য বদলে গেল মৎস্যজীবীর

ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ভরা সুন্দরবনের (Sundarban) মানুষের প্রধান জীবিকা মাছ ধরা। মাছ ধরেই তারা জীবন চালায়। প্রতিদিন মাছ ধরার জিনিস পত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সাগরে এবং ধরে বিভিন্ন ধরণের মাছ। সেই মাছগুলোই চলে আসে বাজারে। এভাবেই চলে মাছ (Fish) ধরা ও বিক্রি হওয়ার প্রক্রিয়া। প্রতিদিনকার মতো আজও কয়েকজন মৎস্যজীবী (Fisherman) মাছ ধরতে গিয়ে যা পেলেন, তাতেই তাঁদের ভাগ্য খুলে গেল। কি এমন পেলেন তিনি সাগর থেকে? চলুন জেনে নিন।
ঘটিনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের সাগর ব্লকের দেবী মথুরাপুরে (Debi Mathurapur) । এই অঞ্চরের চারজন অভাবী মৎস্যজীবী একসঙ্গে প্রতিদিন মাছ ধরতে যায়। প্রতিদিনকার মতো গত শনিবারও ডিঙি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলের ওই চার মৎস্যজীবী। আর মাছ ধরতে গিয়ে তাদের জালে উঠলো একটি মাত্র তেলিয়া ভোলা মাছ (Telia Bhola Fish)। আর এই একটি মাছ পেয়েই তাদের ভাগ্য খুলে যায়।
শনিবার সকালে সাগরের বটতলা নদীতে জাল বসায় ওই জেলে। ওই দিন বেলায় জালে ধরা পড়ে তেলিয়া মাছ। মাছটির ওজন ২৫ কেজি। ওই দিনই মাছটিকে নিশ্চিন্তপুর মাছ আড়তে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজারে উপস্থিত সকলে মাছটি দেখে চমকে যান এবং রীতিমতো ভিড় জমা হয়। প্রতি কেজিতে মাছটির দাম ওঠে ১০০ টাকা এবং ২৫ কেজির তেলিয়া মাছটি ২৫০০০০ টাকা দিয়ে বিক্রি হয়।ভোলা মাছের দাম তো অনেকেরই জানা। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই মাছের দাম এত বেশি কেন?
আসলে এই মাছটি খুবই মূল্যবান (Valuable)। কেননা এর পটকা ক্যাপসুলের খোল (Capsule Shell) তৈরির কাজে লাগে। সুন্দরবন ও দীঘার সমুদ্রে পাওয়া যায় এই প্রজাতির ভোলা মাছ। প্রসঙ্গত, শঙ্কর প্রজাতির তেলিয়া ভোলা স্থানীয় ভাবে খচ্চর ভোলা নামে পরিচিত। পুরুষ ও স্ত্রী ভোলার তুলনায় খচ্চর ভোলার পেটে থাকে সবচেয়ে বেশি পটকা। এই পটকা ঔষধ তৈরিতে ব্যাবহৃত হওয়ায়, তা বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই কারণে মাছগুলি এত মূল্যবান। আর এই মাছ জালে পড়ায় খুবই খুশি সাগর ব্লকের দেবী মথুরাপুরে ওই চার মৎস্যজীবী।