বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে ৫০০, ২০০০ টাকার জাল নোট কীভাবে বুঝবেন আসল নকলের পার্থক্য! জানুন বিস্তারিত

দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ২০১৬ সালে একবার ধাক্কা খেয়েছিল। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন জালনোট আটকানোর জন্য ৫০০ টাকার নোট বা ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই মাফিক সেটা কার্যক্রম হয়েছিল। তবে সবচেয়ে বেশি করুণ অবস্থা হয়েছিল সাধারণ মানুষের। মধ্যবিত্ত মানুষের জমানো টাকা সেই সময় তারা ব্যবহার করতে আর পারছিল না।

তবে এই ভাবেও জালনোট ঠেকানো সম্ভব হয়নি। আজও দেশে রমরমিয়ে জালনোট এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজেই চালান হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত নতুন ৫০০ টাকার নোট ও ২০০০ টাকার নোট বের হলেও সেই নোটও জাল বের করে নিয়েছে প্রতারণাকারীরা। এমত অবস্থায় ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষকে। আসুন আজ দেখে নিন কিভাবে আসল না নকল নোট সেটা চিনবেন।

আলোর সামনে নোটটি রাখলে একটি বিশেষ জায়গায় ৫০০ লেখা দেখা যাবে। যদি ৪৫ ডিগ্রি কোণ থেকে দেখা হয় তাহলেও ৫০০ টাকা লেখা দেখা যাবে। নোটে অবশ্যই দেবনাগরী অক্ষর লেখা থাকবে। নোটের কেন্দ্রে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকবে। ভারতের চিঠিও দেখা যাবে। নোটের থ্রেডের রং সবুজ থেকে নিলে পরিবর্তন হবে যদি আপনি নোটটি একটু বাঁকান। নোটের ডান দিকে গভর্নরের স্বাক্ষর, গ্যারান্টি ক্লজ, প্রতিশ্রুতি ধারা এবং আরবিআইয়ের লোগো থাকবে।

নোটে স্পষ্ট মহাত্মা গান্ধীর ছবি দেখা যাবে। নোটে ইলেক্ট্রোটাইপ ওয়াটার মার্ক দেখা যাবে। ডানদিকে অশোক স্তম্ভ থাকবে। নোট যে বছর ছেপেছে সেই বছর লেখা থাকবে। ভারতের স্লোগান লেখা থাকবে নোটে। কেন্দ্রে ভাষা প্যানেল রইছে। নোটে লাল কেল্লার প্রিন্ট রয়েছে। দেবনাগরী অক্ষরে ৫০০ টি প্রিন্টেড লেখা থাকবে।