প্রেমকাহিনী নাকি সিনেমা! মাত্র ২১ বছর বয়সে রজনীকান্তের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন এই অভিনেতা

বলিউডের থেকে সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি কোনো অংশে কম যায় না। সাউথ ইন্ডিয়ার তারকাদের ফ্যান ফলোয়িং বলিউড তারকাদের ঈর্ষায় ফেলে দেয়। আজকাল দেশের মানুষের ঝোঁক বলিউডের তুলনায় সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির প্রতি অনেক বেশি। সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই ভালো ভালো পরিচালকের সাথে নামি দামি জনপ্রিয় তারকা রাও হয়েছেন। তাঁরা তাঁদের অভিনয়ের দ্বারা দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন।

এমন একজন অভিনেতার নাম ধনুষ। যিনি সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি থেকে তাঁর সিনেমা জগতে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর বলিউডেও অভিনয় করে ছিলেন। আজ গোটা বিশ্বে তাঁকে চেনে কম বেশি সবাই। তিনি নাম এবং ফেম দুটোই উপার্জন করেছেন তাঁর অভিনয়ের প্রতিভার দ্বারা।

ধানুশের আরো একটি পরিচয় , এই যে তিনি হলেন সাউথ ইন্ডিয়ান প্রবীণ সুপারস্টার রজনীকান্তের বড়ো জামাই। ধানুশের সাথে রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়ার বিবাহ হয়েছে। তবে দুজনের প্রেম কাহিনী বেশ ইন্টারেস্টিং। একবার এক অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়াকে ধানুশ দেখে প্রেমে পড়ে যান। তেমনি ঐশ্বরিয়াও প্রেমে পড়ে যান।

ধানুশ তাঁর লাভ লাইফ নিয়ে এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, একবার তাঁর পরিবারকে নিয়ে সিনেমা হলে ‘কান্ডাল কোডে’ মুভি দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে ঐশ্বরিয়াও তাঁর পরিবারকে নিয়ে এসেছিলেন সিনেমা দেখতে। সেখানে তাঁদের সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়েছিলো। এর পরের দিন ধানুশ ঐশ্বরিয়ার বাড়িতে তাঁর জন্য সুন্দর ফুলের বুকে এবং নোট পাঠিয়ে ছিলেন।

এক রিপোর্টার অনুযায়ী, ধানুশের বোনের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। ধানুশ সেটার সুযোগ নিয়ে ঐশ্বরিয়ার মনে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে তাঁরা খবরের হেডলাইনে আসতে শুরু করেন। অবশেষে ২০১৪ সালে ধানুশের সাথে ঐশ্বরিয়ার বিবাহ দিয়ে দেন তাঁদের পরিবার। তামিল রীতি নীতি মেনেই সমস্ত বিবাহ কার্য সম্পূর্ণ হয়। বিয়ের সময় ধনুশের বয়স ছিল মাত্র 21 বছর অন্যদিকে ঐশ্বরিয়ার বয়স ছিল 23 বছর।