ঘরে বসে না থেকে আজই চাষ করুন এই ম্যাজিক ফুলের, মাত্র ৬ মাসেই হয়ে যাবেন লাখপতি
অনেকেই এমন আছেন যারা অন্যরে কাছে চাকরী করার থেকে নিজের ব্যবসা (business) করতে বেশি পছন্দ করেন। নিজের পছন্দ মত ব্যবসায় পুঁজি লাগিয়ে, সেটাকে অনেক বড় করতেও দেখা যায়। অবে এমন একটি ব্যবসা রয়েছে, যেখানে লোকসান হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আপনিও যদি ব্যবসা করতে আগ্রহী হন, তাহলে বলব আজ থেকেই শুরু করুন জাদুকরী ফুলের (chamomile flower) চাষ।
উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলার বুন্দেলখণ্ডের কৃষকরা এই জাদুফুল চাষ এবং তা দিয়ে ব্যবসা করে বর্তমান তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। ক্যামোমাইল ফ্লাওয়ার (chamomile flower) নামের এই ফুল থেকে আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধও তৈরি করা হয়। আর সেই কারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ফুলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
জানিয়ে রাখি, নিকোটিন মুক্ত এই ফুল পাকস্থলী সংক্রান্ত রোগের প্রতিষেধক। আবার এই ফুল সৌন্দর্য্য পণ্য হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এই ফুল চাষের জন্য খুব উর্বর জমির প্রয়োজন নেই। অনুর্বর জমিতেও এই ফুলের ব্যাপকহারে চাষ করা যায়।
যেহেতু এই ফুল চাষ করে অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়, সেই জন্য চাষীরা ব্যাপকহারে এই ফুলের চাষ করে থাকেন। যার ফলে তাঁদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনেক উন্নতিও হচ্ছে। এক একর জমি থেকে ৫ কুইন্টাল এবং এক হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১২ কুইন্টাল জাদুকরী ফুল উৎপন্ন হয়। তবে এর ফলম হতে সময় লাগে মাত্র ৬ মাস। আর এই ফুল চাষ করে জমি থেকে প্রায় ১০০০০-১২০০০ টাকা করে উপার্জন করতে পারেন কৃষকরা। যার ফলে, খরচের থেকে ৫-৬ গুণ বেশি উপার্জন হওয়ার ফলে, মাত্র ৬ মাসেই লাখপতি হতে পারেন কৃষকরা।
এই ফুল শুকিয়ে গেলে সেটাকে ফেলে না দিয়ে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাও তৈরি করা যায়। আলসার এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে মুক্তি পেতে এই চা অনেকেই পান করে থাকেন। জ্বালাপোড়া, অনিদ্রা, নার্ভাসনেস এবং বিরক্তির জন্যও উপকারি হওয়ার পাশাপাশি মোচ, ক্ষত, ক্ষত, ফুসকুড়ি এবং পেটের রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয় এই ফুল।