Underwater Tunnel: দূর থেকে মনে হবে জলের উপর রয়েছে কোনো কার্পেট, এটি হচ্ছে চীনের গোয়েন্দা সুরঙ্গ! বিশ্বব্যাপী চলছে এর চর্চা

China under water tunnel -প্রজেক্টের উপর নজর রয়েছে গোটা বিশ্বে এবং এই প্রজেক্টটি দ্বারা গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে চায়না

কিছু আলাদা তৈরি করে দেখানোর লোভ রাখা ড্রাগন তার কৌশলগত সামর্থ্য দ্বারা এমন এমন প্রজেক্টের কাজকে সম্পূর্ন করে দেখিয়েছে যে আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলি অবাক হয়ে গেছে। এইসবের মধ্যে চীনের একটি আন্ডার ওয়াটার টানেল (China under water tunnel)  আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই টানেলটি হলো চীনের তাইহু ঝিলকে পার করার জন্য ডিজাইন7 করা ৭.৮ কিমি লম্বা ট্রাংক হাইওয়ে টানেল। এই টানেলের উপর কংক্রিটে7র প্রথম ছাদ সবে ঢালাই করা হয়েছে। আসলে চীনের এমন অনন্য সুড়ঙ্গ নিয়ে প্রায়ই জল্পনা-কল্পনা হয়ে থাকে। তাই আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনেনি যে চীনের এই ধরণের প্রজেক্টের বিশেষত্ব কি হয় ও কেন গোটা বিশ্বের নজর চীনের এই অনন্য প্রজেক্ট গুলির উপর থাকে।

China tunnel

এই স্পেশাল ও হাইটেক প্রজেক্টের পূর্বে চীন নিজের সবচেয়ে লম্বা আন্ডার ওয়াটার টানেলের (China under water tunnel)  নির্মাণ পূরণ করার পর সেখান থেকে ট্রাফিক পুনুরুদ্ধার করেছে। মোটামুটি ৪ বছরের সময়কালে তৈরি হওয়া এই টানেল যখন সাধারণ জনগণদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল তখন জনগণের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা হয়েছিল। আর এই টানেলের কথা যদি বলা হয় তবে জানিয়েদি এই টানেল ইন্টেলিজেন্স টানেলটি জিয়াংসু প্রান্ত উক্সি শহরের দুটি টাউনকে সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্পটি জাতীয় সড়ক ৩৪১-এর একটি অংশে চলমান। হ্রদের জলের নীচে থেকে সেই শর্টকাট পথ সরবরাহ করবে যা সাধারণ মানুষকে বড় স্বস্তি দেবে এবং তাদের সময় বাঁচাবে।

China Tunnel

এই টানেলের নির্মাণের কথা বলতে গেলে এর ছাদ কংক্রিটের স্লেব ১.৪ মিটার মোটা ও ২০ মিটার লম্বা যা মোটামুটি ১২০০ বর্গমিটার এলাকাকে কভার করবে। চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতিগুলির কারণে তার অনেক গুলি সিদ্ধান্তকে দুনিয়া অনেকসময় সন্দেহের চোখে দেখে। পুরোপুরি দক্ষিণ চীন সাগরে একতরফা দাবিদার দাবি করা চীন গোটা সামুদ্রিক এস্টেটকে একা কব্জা করতে চায়। এমনপরিস্থিতিতে অনেক কিলোমিটার লম্বা ভূমি সুড়ঙ্গ তৈরি করে ফেলা চীনের প্রত্যেক পদক্ষেপকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী এই টানেল তৈরির কাজ পূর্ণ হওয়ার পর এই প্রজেক্ট থেকে চীনের ঘরেলু অর্থব্যবস্থা উৎসাহিত হবে। আর এই প্রজেক্টের স্থানীয় লোকেদের আয় বৃদ্ধি পাবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। চীনা প্রশাসন অনুযায়ী টানেল দ্বারা লোকাল টুরিজম সেক্টর শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

China tunnel

এর আগে চীনে নির্মিত প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ পানির নিচে হাইওয়ে টানেল চীনা প্রকৌশলীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার অনন্য নমুনা। জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত তাইহু হ্রদের নিচ থেকে সুড়ঙ্গটি সাংহাই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। যার খরচ বলা হয়েছিল $১.৫৬ বিলিয়ন। ৯ই জানুয়ারী ২০১৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সিএনএন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই সমুদ্র সুড়ঙ্গের উভয় দিকে ট্রাফিক পরিচালনার জন্য ৬টি লেন রয়েছে যার প্রস্থ ১৭.৪৫ মিটার। সেই টানেল তৈরিতে ২ মিলিয়ন ঘনমিটারের বেশি কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই সুড়ঙ্গের ছাদে রঙিন এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে যাতে সেখান দিয়ে যাতায়াতকারীরা চোখের আরামের পাশাপাশি কোনো ধরনের ক্লান্তি অনুভব না করেন।