বড়োসড়ো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামলো কেন্দ্র! আগামী মাস থেকে কমতে পারে ১৭ টাকা পেট্রোল-ডিজেলের দাম

গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে পেট্রোলের দাম এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ত্রিশ চল্লিশ টাকা। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এও অপ্রত্যাশা জনক ব্যাপার। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে শাকসবজি হতে শুরু করে এবার পেট্রোলের দামও প্রায় আকাশছোঁয়া। কিন্তু পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর ভ্যাট কমানো হয়েছে যার ফলে দামও কমেছে খানিকটা। আবারো কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখছে সাধারন মানুষ। তবে এরই মধ্যে আবার উৎপাদনকারী দেশ গুলির সংস্থা OPEC অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়াতে অসফল হয়েছে। সেই কারণে ভারত, আমেরিকার মতো বেশি চাহিদা যুক্ত দেশ গুলি অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যায় এমন কৌশল অবলম্বন করেছে।

বিশেষ সূত্রের খবর, মজুদ করা তেলের মধ্যে থেকে ৫০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। আগামী সাত-দশ দিনের মধ্যেই ভারত, আমেরিকা, চীন এবং অন্যান্য বড় অর্থনীতি যুক্ত দেশগুলো এই কাজ শুরু করবে। এই তেল হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচ পি সি এল) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি এন্ড পেট্রাকেমিক্যালস লিমিটেড (এমআর পি এল) এর কাছে বিক্রি করার ফলে দাম ১০-১৭ টাকা কমার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

ভারতের পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলে, কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরু এবং অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে এবং পাদুরে কৌশলগত তেল মজুদ করে প্রায় ২.৪ কোটি ব্যারেল তেল রয়েছে। দরকারে ভারত চাইলে আরো বেশি ব্যারেল তেল উত্তোলন করতে পারবে। অধিক পরিমাণে কৌশলগত মজুদ তেল উত্তোলন করার জন্য ভারত, আমেরিকার সঙ্গে চীন এবং জাপান কেও উদ্যোগী হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

সম্প্রতি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরিণের সিং পুরি এক বক্তৃতার মাধ্যমে জানিয়েছেন, বিশ্ব অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরে আনতে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব কার্যকরী হতে পারে। তবে ধারণা করা হছে, এই অপরিশোধিত তেলের চালান বেশি করে বের করে আনলে, তেলের দাম আরো কিছুটা কমতে পারে।