মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন এই ব্যাবসা, লাভ হবে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত! জানুন বিস্তারিত

কোভিড পরিস্থিতির জন্য অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পরিবারের সংসারের খরচ কিভাবে চালানো যাবে তাই নিয়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ। তবে অনেক মানুষই আর চাকরির দিকে না গিয়ে ব্যবসার দিকে এগোচ্ছে।

তবে ব্যবসায় মুনাফা যেমন আছে তেমনি শারীরিক শক্তির সাথে মস্তিষ্কের শক্তিরও প্রয়োজন আছে। তবে আজ এমন একটা বিজনেসের কথা বলবো, যা আপনি কম খরচেই শুরু করে দিতে পারবেন।

বিজনেসটি হলো মুক্তা চাষ। আপনার হয়তো জানা নেই মুক্তা চাষ হল এমন একটা চাষ যেখান থেকে আপনি দশগুণ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করতে পারবেন।
তবে মুক্তা চাষ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে আগে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি কাজটি একবার শিখে ফেলতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর পয়সার জন্য পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।

যদি আপনি মুক্তা চাষের পিছনে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেন, তাহলে আপনি মাসে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। মুক্তা চাষের ক্ষেত্রে আরও একটি ভালো দিক হলো, সরকার মুক্তা চাষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে থাকে। আপনাকে পয়সার জন্যও খুব একটা ভাবতে হবে না।

কিভাবে ব্যাবসাটি আপনি শুরু করবেন?
প্রথমে আপনাকে আপনার জমিতে পুকুর খনন করতে হবে। এরপর পুকুরে প্রচুর পরিমাণে পানি সংগ্রহ করুন। পুকুরে ফেলে ঝিনুক গুলো ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য ছেড়ে দিন। দিন ১৫ পরে ঝিনুকগুলোকে তুলে একটু আঁচড়ে ফেলে, চালানির ভেতর থেকে মুক্তা বের করুন।

মুক্তা বের করার পর শাঁসগুলো আপনি জলে আবার দিন। অবশ্যই জলে যত্ন নেবেন। কারণ জলে যত্ন না নিলে ঝিনুকদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ পরিবেশের তৈরি হবে। এরফলে ঝিনুকের ভেতরে পুঁতি হতে বেশ সময় লেগে যাবে।

দক্ষিণ ভারত এবং বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায় সবথেকে বেশি মুক্তা চাষ করে থাকে চাষিরা। সেখানকার মুক্তা পুরো বিশ্বে রপ্তানি হয়ে থাকে। মুক্তা চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে মধ্যপ্রদেশের হোশাঙ্গাবাদ এবং মুম্বাইয়তে। পুকুর খননের জন্য যে টাকার প্রয়োজন হয়, সেটাও সরকার দিয়ে থাকে প্রথমবারের জন্য। সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে মুক্তা চাষের জন্য।