হার মানবে বুর্জ খলিফা, চোখধাঁধানো গগনচুম্বী মিনার তথা পৃথিবীর বৃহত্তম বাসভবন তৈরি হবে আরব দেশে

বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ও বিলাসবহুল স্থান হলো দুবাই (Dubai)। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে এই স্থানে একবার ঘুরে আসার। এই স্থানেই রয়েছে বুর্জ খলিফা (Burj Khalifa)। যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং। এই দুবাইয়ের রয়েছে পাম জুমেরাইয়ের মতো সৌন্দর্যে ভরা বিচ। এবার আবার এই দুবাইয়ে এক মিনার তৈরি হতে চলেছে।

Burj Khalifa

এটিই হবে পৃথিবীর উচ্চতম অট্টালিকা (Tallest Building In The World)। চোখধাঁধানো এই গগনচুম্বী মিনার তৈরি করছে জ্যাকব অ্যান্ড কোম্পানি (Jacobs & Company) ও বিংহাট্টি (Binghatti) নামের দুই সংস্থা। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের এ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। চলুন জেনে নিন। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হলো সেন্ট্রাল পার্ক টাওয়া, যেটি নিউ ইয়র্কে অবস্থিত।

এর উচ্চতা ৪৭২.৪ মিটার। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দুবাইয়ে অবস্থিত প্রিন্সেস টাওয়ার। এর উচ্চতা ৪১৪ মিটার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ড৩৯২.৭৫ মিটার উচ্চ ২৩ মারিনা। এটিও দুবাইয়ে অবস্থিত। এবার এই সব বিল্ডিংকে পিছনে ফেলে আবার দুবাইয়ে তৈরি হচ্ছে এক বিল্ডিং। যা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হতে চলেছে।দুবাইয়ের ‘বিজনেস বে’র (Business Bey) মতো অভিজাত অঞ্চলে তৈরি হবে এই বিল্ডিংটি। এই বিল্ডিং-টি ১০০টির বেশি তল থাকবে।

img 20221110 202942

বিষয়টি ইতিমধ্যে মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। এই বিল্ডিং তৈরি করছে ঘড়ি ও হিরে প্রস্তুতকারক সংস্থা জ্যাকব অ্যান্ড কোম্পানি। এই সংস্থা স্টাইলিশ ও চমকের জন্য বিখ্যাত। এই কোম্পানি বিল্ডিংটি তৈরি করার খবর মিডিয়ায় বেশ গুঞ্জন তৈরি কড়েছে। তবে বিল্ডিংটির কি নাম হবে? তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। বর্তমানে এই বিল্ডিংকে ‘হাইপার টাওয়ার’ (Hyper Tower) নামে ডাকা হচ্ছে।

img 20221110 202613

গত কাল অর্থাৎ বুধবার এই দুই সংস্থার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিল্ডিংটি সম্পর্কে একটি তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে বলা হচ্ছে এই টাওয়ারে থাকবে পাঁচটি পেন্টহাউস (Painthouse)। জ্যাকব অ্যান্ড কোম্পানির বিভিন্ন টেবিলঘড়ির নামে এই পেন্টহাউসগুলির নামকরণ করা হবে। অন্যদিকে এই পেন্টহাউসগুলি হাইপার টাওয়ারে রত্নে মতো শোভা দেবে। যেমনটা কোনো মুকুটে রত্ন ঝলমল করে। ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা জ্যাকবের চেয়ারম্যানের বলেছেন, “অসম্ভবের উদ্দীপনাই তাঁদের এমন অভিনব পরিকল্পনা করতে সাহায্য করেছে।” তিনি আরো বলেন যে, ”এই টাওয়ারটি যেন অতীতের সমস্ত সীমাবদ্ধতার দেওয়ালকে ভেঙে ফেলার প্রতিশ্রুতি। মৌলিকতাই আমাদের শক্তি।”