সালমান খান থেকে শিল্পা শেঠি, এই বলিউড তারকাদের ভাইবোনেরা বলিউডে চূড়ান্ত ফ্লপ

সাধারণত বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিবারের কেউ যদি বলিউডে আগমন ঘটাতে চাইলে তাদের খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। কারণ প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা বা অভিনেত্রীরাই তাদের পরিবারের লোকেদের বিভিন্ন সুযোগ করে দেয় ও সব জায়গায় রেফার করে দেয় আর তাই খুব সহজেই তারা কাজ পেয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় রেফার করে দেওয়া সত্ত্বেও তারা বলিউডে সফলতা অর্জন করবে পারেন না। আজ আমরা এই আর্টিকেলে বলিউডের সেইসব ফ্লপ অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের কথা বলবো যারা সম্পর্কে নাম করা ও সফল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিবারের অংশ কিন্তু তা সত্ত্বেও বলিউডে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।

সোহা আলী খান: বলিউডের সফল অভিনেতাদের তালিকায় সেইফ আলী খানের নাম আসে। তিনি একের পর এক সুপারহিট ফিল্ম বলিউডকে উপহার দিয়েছেন। তবে সেইফ আলী খানের বোন সোহাও বলিউডে নিজের কেরিয়ার বানানোর চেষ্টা করেছিল। যেমন ফিল্ম ‘রং দে বসন্তী’-এ সোহার অভিনয়কে পছন্দও করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সোহা বলিউডে সফলতা অর্জন করতে পারেনি যেখানে তার ভাই সেইফ এতো সফল অভিনেতা।

শমিতা শেট্টি: বলিউডের শিল্পা শেট্টি একজন নাম করা অভিনেত্রী। শিল্পা তার বোন শমিতাকে বলিউডে কাজের অনেক সুযোগ করে দেওয়া সত্ত্বেও তার বোন বলিউডে সফলতা অর্জন করতে পারেননি। শমিতা মহব্বতে ফিল্মের দ্বারা বলিউডে আগমন করতে দেখা গিয়েছিল এবং তারপর তিনি জেহের ও আরো অনেক ফিল্মেই কাজ করেছিলেন।

সঞ্জয় কাপুর: বলিউডের নাম করা অভিনেতা অনিল কাপুরের ভাই সঞ্জয় কাপুরও, অনিলের সাহায্যে ও কন্টাক্টস দ্বারা ফিল্ম জগতে আগমন ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শ্রিফ তুমি ও রাজা ফিল্ম দুটি করার পর সেরমভাবে কোনো ফিল্ম অফার পায়নি এবং বলিউডকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন।

সোহেল খান: বলিউড দাবাং হিরো সালমানের ভাই সোহেল খানও ‘ম্যানে দিল তুঝকো দিয়া’ ফিল্মের মাধ্যমে আগমন ঘটিয়ে ছিলেন কিন্তু ফিল্মটি ফ্লপ হয়ে গেছিল। এরপরও তিনি অনেক ফিল্মেই কাজ করেছিলেন কিন্তু সেভাবে সফলতা অর্জন করতে পারেননি। তাই পরে তিনি এক্টিং কেরিয়ার ছেড়ে ডিরেক্টর ও প্রোডিউসারের হিসাবে বলিউডে কাজ করা শুরু করেন।

ফেইজাল খান: বলিউডের সবথেকে সফল অভিনেতাদের তালিকায় অন্যতম আমির খানের ভাই ফেইজাল খান বলিউডে আমির খানের সাথেই ‘মেলা’ ফিল্মের মাধ্যমে আগমন ঘটিয়ে ছিলেন। মেলার পর তিনি মাদহোশ ফিল্মেও কাজ করেছিলেন কিন্তু তেমন সফলতা না পাওয়ায় তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন।