ফ্লপ যাচ্ছে একের পর এক ছবি তবুও বছর গেলে আয় ১৫০ কোটি, এই ৫টি মূল্যবান সম্পদের মালিক অভিনেতা আমির খান

বলিউডে (Bollywood)পারফেকশনিস্ট হিসেবে পরিচিত আমির খান (Amir Khan)  গত তিন দশক ধরে বলিউডে (Bollywood)রাজত্ব করে চলেছেন। ‘ইয়াদো কি বারাত’ ফিল্মে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে আগমন ঘটিয়েছিলেন তিনি। এরপর বড় হওয়ার পর তার ডেবিউ ফিল্ম ছিল ১৯৮৮ সালে আসা ক্যায়ামাত সে ক্যায়ামাত। এই ফিল্মটির দ্বারা তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন যার পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একের পর এক হিট ফিল্মে কাজ করে চলেছেন। এমনকি নিজের ফিল্মের জন্য ‘পদ্মশ্রী’ ও ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিতও হয়েছেন তিনি।

আমিরের জীবনের কয়েকটি সুপার ডুপার হিট ফিল্ম হলো- লাগান, তারে জমিন পার, ৩ ইডিয়টস, দঙ্গল, পিকে, গজনী, ফনা, রং দে বসন্তী ইত্যাদি। জানিয়ে ‘তারে জমিন পার’ ফিল্মে আমির শুধু অভিনয় করেননি এই ফিল্মের দ্বারা প্রথম তিনি পরিচালনার জগতে পা রেখেছিলেন এবং এর পর অনেক ফিল্মে অভিনয়ের সাথে পরিচালনাও করেছেন তিনি। তবে আমির খানের ফিল্ম ‘ঠাগস অফ হিন্দুস্থান’ ফিল্মটি বক্স অফিসে খুব বাজে ভাবে ফ্লপ হয়ে গেছিল যার পর আমির ৪ বছর ফিল্ম জগৎ থেকে বিরতি নিয়ে নিয়েছিলেন। তারপর ২০২২- এ তিনি “লাল সিং চাড্ডা” ফিল্মের মাধ্যমে কাম ব্যাক করেন কিন্তু ফিল্মের আগে আমির খান ও ফিল্মের অভিনেত্রীর কিছু পুরোনো খারাপ মন্তব্যের ভিডিও সামনে আসায় লোকে এই ফিল্ম বয়কট করে ফ্লপ করিয়ে দেয়। তাই বলা যেতে পারে বলিউডের পারফেকশনিস্টের ফিল্ম পর পর ফ্লপ হয়েই চলেছে। তবে আগামী দিনে আমিরের ৩ টি ফিল্ম ও ১ টি ওয়েব সিরিজ আসতে চলেছে যা ফ্লপ হবে না হিট তা দেখার বিষয় হবে। আমির খানের এই ওয়েব সিরিজের নাম হলো প্রীতম পেয়্যারে। শোনা যাচ্ছে এই সিরিজে আমিরের সাথে তার পুত্র প্রথমবার অভিনয় জগতে পা রাখবে। আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনেনি আগামী ১৭ মাসে আমিরের কোন ৩ টি ফিল্ম মুক্তি পেতে চলেছে। যেমন-ক্যামপিওনস,সালাম ভেঙ্কি ও টু ব্রাইডস। তবে লাল সিং চাড্ডা ফিল্ম বাজেভাবে ফ্লপ হওয়ার পর এখনই আর নতুন ছবি নিয়ে তিনি ফিরতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন আমির। আর ব্যক্তিগত জীবনে কথা বলতে গেলে আমির খান দুবার বিয়ে করেছিলেন কিরণ রাও ও রিনা দত্তকে কিন্তু দুজনের সাথেই তার ডিভোর্স হয়ে গেছে এবং বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল লাইফ কাটাচ্ছেন ও তার ৩ টি সন্তান রয়েছে। এছাড়া আমিররা ৪ ভাই। আর আমিরের পিতাও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত ছিল। তবে ডিভোর্স হয়ে গেলেও টু ব্রাইডস ফিল্মটি তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রী পরিচালনায় করছেন।

তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে আমিরের এতো ফিল্ম ফ্লপ হওয়ার পরে এবং তিনি এখন আবার বাড়ি বসে রয়েছেন বলে তার অর্থের দিক দিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তিনি এখনো লাক্সারি লাইফ কাটাচ্ছেন। এমনকি তিনি যদি সারাজীবনও কাজ না করেন তাহলেও তিনি লাক্সারি জীবন চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ আমিরের কাছে রয়েছে কিছু মূল্যবান সম্পত্তি যা থেকে আমির এতো টাকা আয় করেন যে তার সারাজীবই কোনো কাজ না করলেও লাক্সারি ভাবে জীবন কাটাতে পারবেন। তবে আসুন জেনেনি আমিরের সবচেয়ে মূল্যবান ৫ টি সম্পত্তির বিষয় (Amir Khan 5 most expensive property)।

আমিরের সম্পত্তি সমুহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সম্পত্তির কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় বান্দ্রায় অবস্থিত আমির খানের পাঁচ হাজার বর্গমিটারের একটি অ্যাপার্টমেন্টের কথা। থাকার জন্য নয়, শুধুমাত্র পার্টি করতে এবং মাঝেমধ্যে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য তিনি ৬০ কোটি টাকা দিয়ে এই এপার্টমেন্ট কিনেছেন। এছাড়া পাঁচগনিতে তার একটি খামারবাড়ি রয়েছে যার অর্থ মূল্য আকাশছোঁয়া। প্রায় দুই একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই খামারবাড়ি কেনার জন্য আমির খান ৭ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন ২০১৩ সালে। এখন তার অর্থমূল্য প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া গোটা মুম্বাই শহর জুড়ে তার বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। মেরিনা, বেলা ভিস্তা এবং পালি হিলে তার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি নাকি বেভারলি হিলস-এও ৭৫ কোটি টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। ফার্নিচার ভাড়া স্টার্টআপে প্রায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন আমির। মার্সিডিজ বেঞ্জ, রোলস রয়েস এবং ফোর্ডের মত প্রায় ৯-১০টি দামি গাড়ি রয়েছে তার গ্যারেজে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ২৩০ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার আশেপাশে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ইনডোর্সমেন্ট, টিভি হোস্টিং, চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তিনি মাসে ১২ কোটি টাকা উপার্জন করেন।