কী কারণে আম্বানি কে ছেড়ে টাটার সাথে চুক্তিবদ্ধ হল বিসলারি, কেন নেওয়া হল এমন সিদ্ধান্ত! বেরিয়ে এল কারণ

চলার পথে রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই দোকান থেকে পানীয় জল (drinking water) কিনে থাকেন। সেক্ষেত্রে দোকানে গিয়ে প্রথমেই সকলে বলে থাকেন বিসলেরি (bisleri) জল দেওয়ার জন্য। অনেক সময় এমনও দেখা যায়, যদি এক দোকানে বিসলেরি জল না পাওয়া যায়, তাহলে অন্য দোকানেও চলে যান অনেকে। এই জলের চাহিদা এতোটাই, এমনকি এই জলের উপর মানুষের এতোটাই বিশ্বাস হয়ে গিয়েছে, সেই কারণে বাজারে এই জলের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

জানিয়ে রাখি, এবার এই কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোম্পানির প্রধান রমেশ চৌহান (Ramesh raj chauhan)। আর এই কোম্পানি কেনার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের এত জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড কেন এভাবে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলেন কোম্পানির মালিক?

img 20221126 123520

৮৪ বছর বয়সী রমেশ চৌহান ভারতের বৃহত্তম প্যাকেজড ওয়াটার কোম্পানি বিসলেরির মালিক। জানা গিয়েছে, একাধারে বার্ধক্য এবং অন্যদিকে দুর্বল স্বাস্থ্য ছাড়াও আরও নানান কারণে বিসলেরি চুক্তি শেষ করতে চলেছেন রমেশ চৌহান। কারণ বিসলারিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বা সম্প্রসারণের পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের উত্তরসূরি নেই। অন্যদিকে রমেশ চৌহানের মেয়ে এবং বিসলেরির ভাইস চেয়ারপার্সন জয়ন্তীও ব্যবসায় খুব একটা আগ্রহী নন। সেই কারণেই কোম্পানি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গোটা দেশ জুড়ে ১২২ টিরও বেশি কার্যকরী প্ল্যান্ট রয়েছে এই কোম্পানির।

img 20221126 123535

‘বিসলেরি ইন্টারন্যাশনাল’-এর চেয়ারম্যান এবং বিখ্যাত শিল্পপতি রমেশ চৌহান বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাঁরা এই ব্যবসা বিক্রির জন্য একজন ক্রেতা খুঁজছেন এবং এই বিষয়ে টাটা কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জানিয়ে রাখি, ১৯৬৯ সালে রমেশ চৌহান যখন তাঁর এই কোম্পানিটি কিনেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। মাত্র ৪ লক্ষ টাকায় তৎকালীন সময়ে চুক্তি হয়েছিল এই কম্পানিটি। আর জানা গিয়েছে, বর্তমান সময়ে ৬০০০-৭০০০ কোটি টাকায় টাটা গ্রুপের সঙ্গে বিক্রির চুক্তি হয়েছে এই কোম্পানির।