মঙ্গল গ্রহে উল্কাপিন্ড টক্করে কেঁপে উঠলো ভূমি, অডিও জারি করলো NASA

মঙ্গল গ্রহের (Mars) অধ্যয়ন করা বৈজ্ঞানিকরা (scientist)  গত বৃহস্পতিবার আগের বছরে পাওয়া একটি ক্রিসমাস গিফ্টের বিষয় সবাইকে জানিয়েছে। আসলে ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২১ সালে একটি উল্কাপিন্ড (Meteorite) মঙ্গল গ্রহের (Mars) পৃষ্ঠতলের সাথে ধাক্কা খেয়েছিল। এই টক্করটি এতোটা ছিল যে ৪ রেক্টর স্কেলের তীব্রতার ভূমিকম্পর ঝটকা অনুভব করা গেছিল। ৪ বছর আগে মঙ্গলের পৃষ্ঠতলে নামা নাসার ইনসাইট মহাকাশযান এর খোঁজ করেছে। যেই জায়গায় উল্কাপিন্ডটি (Meteorite)পড়েছিল ও যেখানে নাসার ইনসাইট মহাকাশযানটি ছিল তার মধ্যের দূরত্ব মাত্র ৩৫০০ কিমি ছিল।

Mars

এছাড়া জানিয়ে দি যে মঙ্গল গ্রহে যে ঝটকা গুলি অনুভব করা সেগুলিকে মার্সকোয়েক বলে। উল্কাপিণ্ডের টক্করের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল নাসার মার্স রিকনিসেন্স অরবিটার (MRO)। টক্করের ২৪ ঘন্টা পর অরবিটার নতুন তৈরি হওয়া ক্রেটরের ফটো নিয়েছিল। এই ফটোতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল যে উল্কাপিন্ড পরায় ১৫০ মিটার চওড়া ও ২১ মিটার গভীর ক্রেটর তৈরি হয়ে গেছিল। আর ক্রেটরের আসে-পাশে বরফও দেখতে পাওয়া গেছে। ১৬ বছর পূর্বে MRO মঙ্গল গ্রহের পরিক্রমা শুরু করেছিল। তখন থেকে এখনো পর্যন্ত এটি সব থেকে বড় ক্রেটর।

ইনসাইট ও MRO মিশনে কাজ করা ইনগ্রিড ডাবর গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন যে মঙ্গল গ্রহে উল্কাপিণ্ডের প্রভাব দুর্লভ নয়। তারা কখনো ভাবেনি যে তারা এতো বড় কিছু কখনো দেখতে পাবে। গবেষকরা অনুমান করছে যে এই উল্কাপিন্ড আকারে প্রায় ১৬-৩৯ ফুটের মধ্যে হবে। এই আকারের কোনো জিনিস পৃথিবীর দিকে গেলে তা বায়ুমণ্ডলেই জ্বলে শেষ হয়ে যায়। গ্রহ বিজ্ঞানের প্রফেসর ফিলিপ লোগণ গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন যে যখন বিজ্ঞান সিসমগ্রাফের মাধ্যমে ঝটকাটি মেপে ছিল তখন থেকে এখনো পর্যন্ত এটি সবচেয়ে বড় উল্কাপিন্ড প্রভাব।

নাসা এই টক্করের একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে যা সিসমোমিটার দ্বারা সংগৃহীত কম্পন থেকে তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এই টক্কর মঙ্গল গ্রহের অভ্যন্তর ও গ্রহের গঠনের ইতিহাস সম্পর্কে গভীর তথ্য দেবে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল টক্করের পর পাওয়া বরফ নিয়ে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এই বরফ পানিতে পরিণত হবে এবং বায়ুমণ্ডলে গ্যাসে পরিণত হবে।