কার ভাগ্যে জুটবে Big Bazaar, আদানি না আম্বানি! শুরু তুমুল লড়াই
আদানি না আম্বানি

দেশের অন্যতম দুই প্রধান শিল্পতি হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Amabni) ও গৌতম আদানি (Goutam Adani)। গৌতম আদানি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি। তিনি ক্রমাগত আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) ব্যাবসার পরিধি বাড়িয়ে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে থেমে নেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির (Reliance Industries) প্রধান মুকেশ আম্বানিও। তিনিও নিজের ব্যাবসার সম্প্রসারণ করে চলেছে। দুজনেই দুজনের প্রতিযোগি। কেও কাওকে এক চুল জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। একই ভাবে এবার ফিউচার রিটেলের (Future Retail) অধিগ্রহণের জন্য লড়াই করছে আদানি গোষ্ঠী ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। চলুন প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
ফিউচার রিটেল অধিগ্রহণের জন্য মাঠে নেমেছে গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী ও মুকেশ আম্বানির রিলাইয়েন্স গোষ্ঠী। ফিউচার রিটেলকে ব্যাঙ্ক দেউলিয়া (Bankrupt) পর্যায়ে ফেলা হয়েছে। ফলে এই সংস্থা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এই সম্পত্তি কেনার জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ঋণ-জর্জরিত ফিউচার রিটেইল কেনার দিক থেকে প্রথম সারিতে রয়েছে আম্বানির রিলায়েন্স রিটেল। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই আদানি গোষ্ঠীর এপ্রিল মুন রিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। প্রসঙ্গত, এই দুটি সংস্থা সহ মোট ১৩টি অন্যান্য সংস্থাও এই ফিউচার রিটেল কেনার জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে।
ফিউচার রিটেলের জন্য ইওআই (EOI) জমা নেওয়ার সময়সীমা চলতি মাসের শুরুতেই শেষ হয়। এরপরই দেখা যায়, আদানি ও আম্বানি ছাড়াও দেশের অন্যান্য বড় বড় ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেমন শালিমার কর্পোরেশন লিমিটেড (Salimar Corporation limited), নলওয়া স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার (Nalwa Steel And Power Limited), ইউনাইটেড বায়োটেকও (United Biotech) এই ব্যাবসা কিনতে ইওআই জমা করেছে। একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ নভেম্বর ইওআই জমা দেওয়া সংস্থাগুলির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্থাগুলিকে একটি রেজোলিউশন প্ল্যান (Resolution Plan) জমা দিতে হবে।
আসলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাঙ্ককের ঋণে জর্জরিত রয়েছে ফিউচার রিটেল। এই ঋণ পরিশোধ না করতে পারায় সম্পত্তি বিক্রির সিন্ধান্ত নিয়েছে এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, ফিউচার রিটেল প্রতিষ্ঠা করেন কিশোর বিয়ানি। তাঁর প্রোমোটার সংস্থাও এই বিপুল ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ। ইতিমধ্যে গত ২০২০ সালে রিলায়েন্স রিটেলকে তাদের ২৪,৭১৩ কোটি টাকায় সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য চুক্তি করেছিল ফিউচার গোষ্ঠী। তবে এই চুক্তির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয় 3বং রিলাইয়েন্স রিটেল এই চুক্তি বাতিল করে দেন।