মাত্র ২৪ বছর বয়সেই হয়েছেন ১৬৫ কোটি টাকার মালিক, দিলেন ধনী হওয়ার ২ টি মন্ত্র
নাবালকেই হয়েছেন কোটিপতি, জানালেন তিনি সাফল্যের মূল চাবিকাঠি
এই দুনিয়ায় এমন অনেক যুবক রয়েছে যাদের নাবালকতা কাটতে না কাটতেই কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই নিবন্ধে আপনাকে এমন এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো তিনি নাবালক না হলেও মাত্র ২৪ বছর বয়সে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার সাফল্যের মন্ত্র তিনি শেয়ার করেছেন যে আজকের আলোচনায়। তিনি জানালেন মানুষ দুটি কারণেই গরিব থেকে যায়, কিভাবে সাফল্য অর্জন করা যায়, তার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছে আসুন জানা যাক।
হ্যাঁ, আমরা আপনাকে স্পেনের মাদ্রিদের বাসিন্দা জোস কিংয়ের (Josh King) কথা বলতে যাচ্ছি। যিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ১৬৫ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার স্কুল জীবন ও বর্তমান সময় পুরো ভিন্ন। স্কুলে তিনি লুজার নামে পরিচিত ছিল এবং তাকে সকলে বলতো পড়াশোনা না করলে ঘরবাড়ি কিছুই থাকবে না। কিন্তু সেই জোস নামের বালক আজ জেড সেট (Jetset) নামে ফেমাস। তবে তিনিও প্রচুর সম্পত্তি হারিয়ে পুনরায় সেই সম্পত্তির মালিকান হয়েছেন। যে বয়সে কোনো যুবক তার ক্যারিয়ার শুরু করে সেই বয়সে এই যুবক উচ্চ সাফল্যে পা দিয়েছে যা অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা।
জোস কিং ক্যালিফর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে ওয়ান টায়ার পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর বন্ধ করে দেন। যখন তার ২০ বছর বয়স তখনই তিনি কোটিপতির খাতায় নাম লেখান। ২০১৬ সালে তিনি সাফল্য অর্জন করেছিলেন ই-কমার্সে ইনভেস্টমেন্ট এর মাধ্যমে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার সাফল্যের গল্প (Success Story) বলেন যেটা অন্যদের গরিব থাকার কারণও বটে।
তিনি সাফল্যের গল্প বলতে গিয়ে বলেন, যদি মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং সেই স্বপ্ন অনুযায়ী জীবন যাপন করতে চায়, তাহলে শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না সেই স্বপ্নের উপর কাজ করতে হবে। কাজ করার জন্য নিজের বর্তমান অবস্থাকে দেখতে হবে, এটাই সবচেয়ে বড় মটিভেড। যার প্রথম কাজ হল অলস দূর করা, শরীরের উপর করুনা করলে চলবে না। না হলে মানুষ চিরদিনই গরিব থেকে যাবে। ভাগ্যের জন্য অন্যকে দায়ী করা ঠিক না, নিজে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
যদিও জোসের ক্ষেত্রে বর্তমান সাফল্য অত সহজ ছিল না। ২০১৯ সালের সময় করে তিনি তার সম্পত্তি, ঘরবাড়ি সব হারিয়ে ফেলেন। যেখানে তিনি সেই সময় একটু ডিমটিভেড হয়েছিলেন। তারপর তিনি ধর্মের রাস্তায় চলা শুরু করেন এবং আবার নিজের পায়ে ঘুরে দাঁড়ান। জোস জানান তার বিজনেস ক্যারিয়ারে ফিরে আসার জন্য ধার্মিক জাগরণ অত্যন্ত সাহায্য করেছে। NFT ম্যাগাজিন ওয়েবসাইট সেটআপ করার পর তিনি প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন। আজকের দিনে তিনি ১৬৫ কোটি টাকার মালিক। এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। অনেকেই তাকে চেনেন।