৫০ পেরিয়েও উপচে পড়ছে যৌবন, গ্ল্যামার ধরে রাখতে প্রতিদিন রাতে এই কাজ করেন রচনা ব্যানার্জি

একসময় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (Bangla film industry) ও ওড়িয়া ফিল্ম (Odisha Film industry)। ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী (famous actress) ছিলেন রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)। নিজের কেরিয়ারে একের পর এক হিট ফিল্মে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তাই তার ভক্তদের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে রয়েছে। ১৯৯৪ সালে বিউটি কনটেস্ট জেতার পর তিনি বাংলা ফিল্ম ” দান প্রতিদান” এর মাধ্যমে ডেবিউ করেছিলেন। রচনা ব্যানার্জীর ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে তিনি প্রথমে তার সহকর্মী সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর রচনা ২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন। প্রবাল ও রচনার একটি ছেলে রয়েছে যার নাম প্রণিল। তবে একটি সাক্ষাৎকারে রচনা জানিয়েছেন যে তিনি আর তার স্বামীর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নেই কিন্তু তারা ডিভোর্স করেনি তাদের বাচ্চার কারণে।

বর্তমানে রচনা আর ফিল্মে কাজ না করলেও গত ১০ বছর ধরে Zee bangla এর দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) হোস্ট করে চলেছেন রচনা। এই শোয়ের মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা আর বৃদ্ধি পেয়েছে। ভক্তরা রচনা ছাড়া আর কাউকে এই শো হোস্ট করতে দেখতেও চায় না। তবে রচনার বিষয় যেই বিষয়টি সবাইকে অবাক করে সেটা রচনা ফিল্মে কাজ করার সময় যেমন ছিলেন ও ১০ বছর আগে দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) হোস্ট করার সময় যেমন ছিলেন তার চেহারায় কোনো রকম বদল ঘটেনি বা বয়সের ছাপ পরেনি। তিনি ১০ বছর আগে যতটা ইয়ং ছিলেন এখনো ততটাই ইয়ং রয়েছেন। তাই সবাই জানতে ইচ্ছুক রচনা কি এমন রূপ চর্চা করেন যে ৫০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও তিনি এতো সুন্দর ও যৌবন রয়ে গেছেন? কেন তার চেহারায় পরে না বয়স্কের ছাপ? কি করে তিনি এখনো এতো ফিট ও গ্ল্যামারাস? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন গুলি ঘোরাফেরা করে তবে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রচনার বিউটি সিকরেট (Beauty secrets of Rachana Banarjee)।

আমরা সবাই জানি রচনা ব্যানার্জী নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ঠিক কতটা সচেতন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি শারীরিক কসরত থেকে শুরু করে ডায়েট, সবকিছুতেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন। সাধারণ মানুষের পাশাপশি ইন্ডাস্ট্রির অনেক অভিনেত্রী রচনার সৌন্দর্য্যের রহস্য জানতে চায়। তাই দিদি নম্বার ওয়ানের সেটে অভিনেত্রী দর্শনা বণিক অবশেষে রচনাকে যখন জিজ্ঞাসা করলেন যে দিনের একটা বড় সময় তাকে শুটিং সেটে চড়া মেকআপ নিয়ে থাকতে হয় কিন্তু তবুও এত সুন্দরী রচনা কীভাবে? তখন রচনা উত্তর দেয় যে তিনি স্পেশাল কিছু করেন না। শুধু কিছু জিনিস নিয়ম মাফিক করেন। যেমন ঠিক সময় খাওয়া ও ব্যাম ও ত্বকের যত্নের জন্য সবাই যেটুক করে তিনিও সেইটুকু করেন। এর উত্তর শুনে অভিনেত্রী দর্শনা আবার জিজ্ঞাসা করে যে “ঘুমোনোর আগে বা বেরোনোর আগে কিচ্ছু মাখো না?”

তখন রচনা হেসে বলে “আরে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্রিম মাখি। আর দিনের বেলা বেরোলে সানস্ক্রিন মাখি। ব্যাস। আর কিছুই সেরকম না।” রচনার বিষয় ইন্ডাস্ট্রির অনেক সেলিব্রিটিরা তথ্য ফাঁস করে জানিয়েছে যে তিনি দিনের শুরুটা করেন এক গ্লাস করলার রস খেয়ে।” কিন্তু এইসব বিষয় প্রশ্ন করা হলে রচনা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে জানিয়ে দি রচনা কিন্তু সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। আবার সারাদিনের ব্যস্ততা সামলে রাত দশটার মধ্যেই ঘুমোতে যান। কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকেন তিনি। দিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন নিজের শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য। তার খাদ্য তালিকা থেকে জাঙ্ক ফুড একেবারেই বাদ। শাকসবজি এবং মরসুমী ফলের উপরেই নির্ভর করে তার ডায়েট।