রয়েছে লিফট, এসি, ফুড কোর্ট, সহ খেলার জায়গা… চোখ ধাঁধিয়ে দেবে বাংলাদেশের এই ‘টাইটানিক’
রয়েছে লিফট, এসি, ফুড কোর্ট,

বাংলাদেশ (Bangladesh) নদীমাতৃক দেশ। এই দেশের বিভিন্ন জেলাকে ভাগ করেছে বিভিন্ন নদী। যার মধ্যে প্রধান ও সবচেয়ে বড় নদী হল পদ্মা নদী। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার প্রধান মাধমে নৌকা বা জাহাজ। তবে বাংলাদেশের গর্ব পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে লঞ্চ পরিষেবায় ভাটা শুরু হয়েছে। নৌকা পথের বদলে বেছে নিচ্ছে সড়ক পথে। এদিকে সড়ক পথে যাতায়াতেও দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। কেননা দিন দিন জ্বালানির দাম বাড়ছে। ফলে লঞ্চ পরিষেবা (Launch Service) চাঙ্গা করতে এক বিলাসবহুল জাহাজ তৈরি করা হলো। তা দেখলে মনে হবে বাংলাদেশের নদীতে চলছে টাইটানিক। আজকের প্রতিবেদন থেকে এ নিয়ে বিস্তারিত খবর জেনে নিন।
বরিশাল থেকে ঢাকা (Barishal To Dhaka) নৌপথে এ বার চোখ ধাঁধানো লঞ্চ উদ্বোধন করা হলো। যা সবচেয়ে বেশি যাত্রী বহন করতে সক্ষম। জানা যাচ্ছে নতুন এই লঞ্চটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লঞ্চ (The Biggest Launch In Bangladesh)। এই নতুন লঞ্চটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুন্দরবন ১৬’ (Sundarban 16)। খুবই বিলাসবহুল ভাবে ও আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এটি। যা তৈরি করেছে সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানি। চার তল বিশিষ্ট এই লঞ্চটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট, প্রস্থ ৬০ ফুট। এই লঞ্চে এক সঙ্গে ১৩৫০ জন যাত্রী চড়তে পারবেন।
সুন্দরবন ১৬ লঞ্চটিতে রয়েছে লোয়ার ডেক, আপার ডেক ও ২৫০ প্রথম শ্রেণির কেবিন। এছাড়া রয়েছে ৬টি ভিআইপি ও দশটি সেমি ভিআইপি কক্ষ। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে নানা ব্যাবস্থা। থাকছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আলোর খেলা। যাত্রাকালীন সময়ে খিদে পেলে, ফুড কোর্ট থেকে খাবার কিনে খেতে পারবেন। সমগ্র লঞ্চটিকে নিরাপত্তা দেবে সিসি টিবি। এছাড়া থাকছে শৌচাগারও।
শুধু তাই নয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও করা হয়েছে এই লঞ্চে। সফরের সময় যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেন। এর জন্য থাকছে ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা। হটাৎ করেই কোনো যাত্রীর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে, চিকিৎসার জন্য রয়েছে ফার্মেসির ব্যাবস্থা। এই লঞ্চে লিফটের ব্যবস্থাও থাকবে। যা ব্যাবহার করে সহজেই এক তলা থেকে অন্য তলায় যাওয়া যাবে।