একদম জলের দরে কম খরচে আজই শুরু করুন এই ব্যবসা, সরকারও করবে সাহায্য মাস গেলে আয় হবে ৩.৫০ লক্ষ টাকা

জলের দরে কম খরচে আজই শুরু করুন এই ব্যবসা

বর্তমান সময়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Central and West Bengal Government) স্বনির্ভর হওয়ার আওয়াজ তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অনেকেই এমন আছেন যারা ব্যাবসার (Business) প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। অন্যদিকে চাষ আবাদকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে মানুষ অর্থকারী ফলস চাষেও মনোযোগ দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় আজ আপনাদের এমনই এক ব্যাক্তির কথা জানাবো যিনি বাঁশ চাষ (Bamboo Cultivation) করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন। এই চাষে লাভ কেমন? চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।

Bamboo Tree

প্রসঙ্গত, বাঁশ চাষ সম্পর্কে জানার আগে প্রশান্ত দাতের (Prashant Date) সম্পর্কে একটু বলে নিই। যিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। পড়াশোনার কথা বললে তিনি আইটি পাস করেছে। পড়াশোনা সম্পন্ন করার পর তিনি বাঁশ চাষ করার সিন্ধান নিয়েছিলেন এবং এ ক্ষেত্রে আজ তিনি সফল। এই চাষ করে বর্তমানে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। ১৪৮ প্রজাতির বাঁশ তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। আর এ জন্য তিনি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস (India Book Of Record’s) এবং লিমকা বুক অফ রেকর্ডসও (Limca Book Of Record’s) নাম তুলে ফেলেছেন। প্রসংশা পেয়েছেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপালের থেকেও।

বাঁশ গাছের চাষ করলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়না। বরং অনেক লাভই হয়। বাঁশ চাষ করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ বছর। ৪ বছরের মাথায় গিয়ে ফসল তোলা হয়। বাঁশ গাছ বসানোর একটি নিয়ম রয়েছে। দুটি বাশঁ গাছের মধ্যে অন্তত পক্ষে ৩ মিটারের দূরত্ব রাখতে হবে। এর ফাঁকে ফাঁকে অন্য চাষও করা যায়। এছাড়া বাঁশ গাছের পাতা পশুর খাদ্য হিসাবেও ব্যাবহৃত হয়। খরচের (Cost) কথা বলতে গেলে, তিন বছরে প্রতি গাছ পিছু ২৪০ টাকা করে খরচ পরে। এর মধ্যে সরকারের কাছ থেকে ৫০% ভর্তুকি পাওয়া যায়।

Farming

বাজারে বাঁশের চাহিদা আজও রয়েছে। বিশেষ ভাবে বাঁশ থেকে খুব সৌখিন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। যেগুলো বাজারে বেশ দাম দিয়ে বিক্রি হয়। তাই এই চাষ যে আপনাকে লাভের (Profit) মুখ দেখবে তা বলাই যায়। কোনো কৃষক যদি এক হেক্টর অর্থাৎ ৭ বিঘা জমিতে বাঁশ চাষ করেন, তবে সেখানে প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ গাছ লাগাতে পারবেন। এবার ধরুন আপনি ১৫০০ টি গাছ লাগিয়েছেন, তবে ৪ বছর পর এ থেকে ৩ থেকে ৩.৩.৫ লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবেন।